Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
International News

মাংসাশী ব্যাকটেরিয়া খেয়ে নিল ত্বক! ট্যাটু করিয়ে মৃত্যু যুবকের

পায়ের গোড়ালিতে ট্যাটু করিয়েছিলেন ওই যুবক। কিন্তু তা শুকানোর জন্য অপেক্ষা করেননি। ট্যাটু করার মাত্র পাঁচ দিনের মধ্যেই গিয়েছিলেন ‘গাল্ফ অব মেক্সিকো’তে। সেখানে সমুদ্রের টলটলে নীল জলে মনের সুখে সাঁতারও কেটেছিলেন। আর সেখান থেকেই শুরু বিপত্তির।

—প্রতীকী ছবি।

—প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ০৬ জুন ২০১৭ ১১:৫৩
Share: Save:

ট্যাটু ফ্যাশনে আকৃষ্ট হয়ে শখ করে ট্যাটু করিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, সতর্কবিধি মানেননি। আর তার জেরেই শেষ পর্যন্ত প্রাণ খোয়াতে হল বছর একত্রিশের এক যুবককে।

সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, পায়ের গোড়ালিতে ট্যাটু করিয়েছিলেন ওই যুবক। কিন্তু তা শুকানোর জন্য অপেক্ষা করেননি। ট্যাটু করার মাত্র পাঁচ দিনের মধ্যেই গিয়েছিলেন ‘গাল্ফ অব মেক্সিকো’তে। সেখানে সমুদ্রের টলটলে নীল জলে মনের সুখে সাঁতারও কেটেছিলেন। আর সেখান থেকেই শুরু বিপত্তির।

সাঁতার কাটার কিছু ক্ষণ পর থেকেই শরীর ক্রমশ খারাপ হতে শুরু করে ওই যুবকের। জ্বর, সর্দি-কাশি শুরু হয়। ধীরে ধীরে পা ফুলে লাল হতে শুরু করে। সেই সঙ্গে তীব্র যন্ত্রণা। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ওই যুবককে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর চিকিৎসকরা জানান, গোটা শরীরে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হয়েছে ওই যুবকের।

আরও পড়ুন: ট্যাটু মুছতে গিয়ে কী হল যুবতীর শরীরে!

চিকিৎসকরা জানান, ‘ভিব্রিও ভুলনিফিকাস’ নামে ওই ব্যাকটেরিয়া সমুদ্রের জলে থাকে। সৈকত তীরবর্তী উষ্ণ জলেই এদের বাস। ত্বক বা মাংস জাতীয় খাবার খেয়ে বাঁচে এরা। কোনও ক্ষত বা খোলা মুখ দিয়ে শরীর মধ্যে ঢুকে যায় এই ব্যাকটেরিয়া। অল্প সময়েই মারাত্মক সংক্রমণ ঘটায়। শরীরে কোনও ক্ষত থাকলে সংক্রমণ আরও দ্রুত গতিতে ছড়ায়।

অত্যধিক মদ্যপানের জন্য এমনিতেই ওই যুবকের লিভারে সিরোসিস ছিল। যার জেরে দ্রুত তাঁর সারা দেহে ছড়িয়ে পড়েছিল ওই ব্যাকটেরিয়া। সংক্রমণের ফলে ওই যুবকের লিভার ও কিডনি, দুটোই নষ্ট হয়ে যায়। দু’মাস হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর সম্প্রতি মারা যান ওই যুবক। তবে, সংবাদ সংস্থা পিটিআই ওই যুবকের নাম জানায়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE