Advertisement
১৭ এপ্রিল ২০২৪

পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগের ভাবনা ছিল মুশারফের

১৯৯৯ সালে তৎকালীন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গদিচ্যুত করেছিলেন মুশারফ। পাকিস্তানে জারি হয় সামরিক শাসন। সেই ঘটনার দু’বছর পরে পাক প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন মুশারফ। সেটা ২০০১।

পারভেজ মুশারফ।— ফাইল ছবি।

পারভেজ মুশারফ।— ফাইল ছবি।

সংবাদ সংস্থা
টোকিও শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০১৭ ০২:৪৫
Share: Save:

সাত বছর পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোকে হত্যার অভিযোগে দীর্ঘদিন গৃহবন্দি ছিলেন। আপাতত চিকিৎসার জন্য দুবাইয়ে থাকেন জেনারেল পারভেজ মুশারফ। ভারত-পাক সম্পর্কের টানাপড়েন নিয়ে সম্প্রতি মুখ খুলেছেন তিনি। একটি জাপানি দৈনিককে জানান, ভারতের বিরুদ্ধে পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগের কথা পর্যন্ত ভেবেছিলেন। কিন্তু প্রত্যাঘাতের ভয়ে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন।

১৯৯৯ সালে তৎকালীন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গদিচ্যুত করেছিলেন মুশারফ। পাকিস্তানে জারি হয় সামরিক শাসন। সেই ঘটনার দু’বছর পরে পাক প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন মুশারফ। সেটা ২০০১। সে বছরই ভারতের সংসদ ভবনে জঙ্গি হামলা হয়। হামলার দায় নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে সে সময় ভারতের সম্পর্ক প্রায় তলানিতে ঠেকেছিল। মুশারফ ওই দৈনিককে জানিয়েছেন, সে সময় বহু বিনিদ্র রাত কাটিয়েছেন তিনি। একটা সময় মনে হয়েছে, ভারতের বিরুদ্ধে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের কথাও। কিন্তু পাল্টা আঘাতের ভয়ে শেষমেশ সেই সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে এসেছেন।

আরও পড়ুন: ব্রিকস কর্মসূচির ফাঁকে ডোভাল-জিয়েচির আলাদা দ্বিপাক্ষিক বৈঠক

মুশারফ আরও জানান, সেই সময় যুদ্ধে এত আধুনিক অস্ত্র ব্যবহারের সুযোগ ছিল না। দু’দেশের ক্ষেপণাস্ত্রের মাথায় পরমাণু অস্ত্র লাগানোও ছিল না। ফলে সেই ক্ষেপণাস্ত্র শত্রু দেশের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে হলে সেটিকে তৈরি করতে কমপক্ষে দু’দিন সময় লাগত। মুশারফকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, ‘‘আপনি কি তা হলে ওই ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি রাখার জন্য সেনাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন?’’ ‘‘আমরা তা মোটেও করিনি। মনে হয়, ভারতও সে ভাবে ভাবেনি তখন। ভাগ্যিস...।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE