Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

গণহত্যাই করেছে মায়ানমার সেনা, বলছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের দূত

এ বারে রাষ্ট্রপুঞ্জের শীর্ষ মানবাধিকার কর্তা জেইদ রাদ আল হুসেইন স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, রোহিঙ্গা গণহত্যায় মায়ানমার সেনাকে দোষী সাব্যস্ত করা হতে পারে। তাঁর অভিযোগ, রোহিঙ্গাদের ফেরানোর ব্যাপারে বাংলাদেশের সঙ্গে মায়ানমারের চুক্তি হলেও প্রতিদিনই বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা দেশ ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে পালাচ্ছেন।

সংবাদ সংস্থা
জেনিভা শেষ আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৪:১৩
Share: Save:

গণহত্যা থেকে গণধর্ষণ, পুড়িয়ে, খুঁচিয়ে, নির্বিচার গুলি চালিয়ে হত্যা— সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের উপর এ ভাবে লাগামছাড়া অত্যাচার চালানোর জন্য মায়ানমারের সেনাবাহিনীর দিকে অভিযোগের আঙুল উঠেছে আগেই। এ জন্য মায়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার দাবিও উঠেছে একাধিক বার। এ বারে রাষ্ট্রপুঞ্জের শীর্ষ মানবাধিকার কর্তা জেইদ রাদ আল হুসেইন স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, রোহিঙ্গা গণহত্যায় মায়ানমার সেনাকে দোষী সাব্যস্ত করা হতে পারে। তাঁর অভিযোগ, রোহিঙ্গাদের ফেরানোর ব্যাপারে বাংলাদেশের সঙ্গে মায়ানমারের চুক্তি হলেও প্রতিদিনই বিপুল সংখ্যক দেশ ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে পালাচ্ছেন।

রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার বিভাগের হাইকমিশনার জেইদ রাদ আল হুসেইন রোহিঙ্গা পরিস্থিতি বিশদে ব্যাখ্যা করেন মানবাধিকার কাউন্সিলকে। সেখানেই তাঁর অভিযোগ, নির্বিচার গুলি চালিয়ে খুন, ঘরবাড়ি সমেত গোটা পরিবারকে জ্বালিয়ে মারার মতো অসংখ্য ঘটনা ঘটেছে। তার পরেই তাঁর প্রশ্ন, ‘‘এর পরেও কেউ বলবেন, গণহত্যা হয়নি?’’ দোষীদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে অপরাধের তদন্ত চালানোর জন্য রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভাকে ‘উপযুক্ত কোনও ব্যবস্থা’ নিতেও অনুরোধ করেন তিনি। রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিবের বিশেষ দূত প্রমীলা প্যাটেন জানান, তিনি মায়ানমার সেনার কবল থেকে বেঁচে ফেরা কয়েক জনের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছেন, শুধু মাত্র ধর্মীয় এবং জাতিগত পরিচয়ের কারণেই রোহিঙ্গাদের উপরে ঠান্ডা মাথায় নির্মম অত্যাচার চালানো হয়েছে। প্রমীলার কথায়, ‘‘ধর্ষণ, সেনাবাহিনীর হাতে গণধর্ষণ, প্রকাশ্যে নগ্ন করে দেওয়া, সেনা ক্যাম্পে যৌনদাসীর কাজ করতে বাধ্য করার মতো ঘটনা ঘটেছে।’’

রাষ্ট্রপুঞ্জে মায়ানমারের দূত হিতিন লিন জানিয়েছেন, তাঁর দেশের সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ঘরছাড়াদের দু’মাসের মধ্যে ফেরানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে মানবাধিকার কর্তার তীব্র প্রতিক্রিয়ার পরে মায়ানমারের দূতের এই আশ্বাসেও কিছু হবে কি না, সে প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE