ওবামার বিদায়ী ভাষণ শেষে মঞ্চে উঠে এলেন স্ত্রী ও মেয়ে। ছবি: রয়টার্স।
আট বছর আগে বলেছিলেন, “হ্যাঁ। আমরা পারি।”
এ বার তার সঙ্গে জুড়ে দিলেন, “হ্যাঁ। আমরা পেরেছি।”
আট বছর আগে দেশের প্রথম আফ্রিকান-আমেরিকান প্রেসিডেন্ট পেয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট হিসাবে বিদায়ী ভাষণে বুধবার নিজের শহর শিকাগোর মঞ্চে ভাষণ দেন বারাক ওবামা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে তাঁর সময়কালে নানা উত্থান-পতনের সাক্ষী তিনি। তার মধ্যেই নিজের নির্বাচনী স্লোগানকে অনেকাংশেই সফল করেছেন বলে মত বিশেষজ্ঞদের একাংশের। বিশ্ব জুড়ে আর্থিক মন্দার সময়েও গত ছ’বছরে দেশের বেকারির হার নামিয়ে এনেছেন ১০ শতাংশ থেকে ৪.৭ শতাংশে। ওসামা বিন লাদেনের ত্রাস মেটানোর কৃতিত্বও তিনি দাবি করতে পারেন। ইরাকে যুদ্ধ শেষ করা বা আফগানিস্থান থেকে ধীরে ধীরে মার্কিন সেনা অপসারণের মতো সিদ্ধান্তও রয়েছে তার সাফল্যের তালিকায়।
তবে বিদায়ী ভাষণে নিজের সাফল্য নয়, ভাবী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিভাজনের রাজনীতি থেকে সতর্ক করলেন আপামর মার্কিন জনগণকে। ট্রাম্পের নাম না করেও তাঁর মেরুকরণের নীতির বিরোধিতার সরব হলেন ওবামা।
আরও পড়ুন
ট্রাম্পকে বিঁধে প্রতিবাদ মেরিলের
দশ দিন পরেই ওয়াশিংটনের ওভাল অফিসে প্রেসি়ডেন্টের ব্যাটনবদল। আগামী ২০ জানুয়ারি থেকে দায়িত্ব সামলাবেন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনান্ড ট্রাম্প। সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে ওবামার সতর্কবার্তা, সকলের সমানাধিকার নিশ্চিত করলেই তবেই মার্কিন গণতন্ত্রের অগ্রগতি হবে। মুসলিম-অভিবাসী-সমকামী-নারী— সব শ্রেণির মানুষের বিরোধিতার বিপক্ষে সরব হওয়ার অনুরোধ করলেন ওবামা। মার্কিন মূল্যবোধের ক্ষয়িষ্ণুতা ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি বহির্বিশ্বের আগ্রাসন থেকে সজাগ হয়ে গণতন্ত্র রক্ষায় আমজনতাকে সচেতন থাকার কথা বলেন তিনি। ওবামা বলেন, “এগিয়ে যেতে হলে আমাদের সকলকেই সব রকমের বৈষম্যের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। মূল্যবোধের ক্ষয়রোধ করতে হবে।”
এ দিন ৫১ মিনিটের ভাষণে আগাগোড়াই বেশ শান্ত ছিলেন। কিন্তু, ভাষণ শেষে স্ত্রী মিশেল ওবামা, মেয়ে ও ভাইস প্রেসি়ডেন্ট জো বিদেনকে ধন্যবাদ দিতে গিয়েই আবেগবিহ্বল হয়ে পড়লেন বারাক ওবামা।
আরও পড়ুন
আমেরিকা আগন্তুকদের জাতি ছিল, তাই থাকবে: ট্রাম্পকে বার্তা ওবামার
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy