ফের বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন প্রাক্তন পাক রাষ্ট্রদূত হুসেন হাক্কানি। এ বার পাকিস্তানের সামরিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন তিনি। হাক্কানি বলেছেন, ‘‘জেহাদিদের পাক সেনার প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ মদত দেওয়া এ বার বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। ১৯৭৯ সাল থেকে এই ধরনের সংগঠনকে যতটা না নিজেদের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে, তার চেয়ে বেশি ভারতের জন্যই ব্যবহার করে আসা হচ্ছে।’’
আগেও হাক্কানি এ ধরনের কথা বলেছেন। কাশ্মীর ইস্যুতে আগের মতো আর পাকিস্তানের পাশে নেই আন্তর্জাতিক মহল, এমন মন্তব্যও শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে। সেই সময় তিনি লিখেছিলেন, বাণিজ্যের পাশাপাশি সীমান্তের দু’পারের মধ্যে বিভিন্ন ভাবে সম্পর্ক স্বাভাবিক করে নেওয়াই ভারত-পাকিস্তানের উচিত। কিন্তু, এটা না করে পাকিস্তানের কট্টরপন্থীরা ‘সবার আগে কাশ্মীর’ এই মন্ত্র আঁকড়ে রয়েছেন। যদিও এটা যে অবাস্তব, সেটাও তাঁরা বোঝেন। কাশ্মীর নিয়ে অনড় অবস্থান বহাল রেখে কিছু মিলবে না। কিন্তু পাকিস্তানের নেতারা মনে করেন, দেশের সেনাবাহিনী, ইসলামপন্থীদের সমর্থন পেতে হলে তাঁদের এটা করে যেতে হবে।
হাক্কানির নিজের লেখা বই ‘ইন্ডিয়া ভার্সেস পাকিস্তান’-এ লিখেছিলেন, মু্ম্বই হামলার পিছনে যে তাদের হাত রয়েছে পাকিস্তান সে কথা আমেরিকার কাছে স্বীকার করেছে। ২৬/১১ মুম্বই হামলা সম্পর্কে হাক্কানিকে এ কথা জানান পাক গুপ্তচর সংস্থা আই এস আই প্রধান সুজা পাশা। হাক্কানির দাবি, সুজা তাঁকে জানিয়েছিলেন, হামলাকারীরা পাকিস্তানের লোক হলেও, হামলার পরিকল্পনা পাকিস্তানের ছিল না। দুই দেশের বর্তমান সম্পর্কই যে ১৬০ পাতার এই বই লেখার মূল কারণ, তা জানিয়েছেন হাক্কানি। তিনি লিখেছেন, দু’দেশের মধ্যে অচলাবস্থার জন্য মূলত পাকিস্তানই দায়ী। তবে দায় অস্বীকার করতে পারে না ভারতও।
এর আগে পাকিস্তানের মসজিদ ও সেনাদের কড়া সমালোচনা করে বই লিখেছিলেন হাক্কানি। সেখানে ভারতের বিরুদ্ধেও অসহিষ্ণুতার অভিযোগ এনে তিনি লিখেছেন, জাতীয়তাবাদ বলতে ভারত বিরোধিতাই বোঝে পাকিস্তান। সাম্প্রতিক কালে ভারতও সেই পথেই হাঁটছে। ধর্মের নামে খুনোখুনি ও হিংসার ঘটনা দেখা যেত পাকিস্তানের বুকে। এখন ভারতের সেই ধরনের ঘটনার ছবি দেখা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন:ওবামার সাফল্য নিয়ে তৈরি ছবিতে উপস্থিত এক মাত্র বিদেশি রাষ্ট্রনেতা মোদী
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy