শরিফের বাসভবনের কাছে সমাবেশে ইমরান ও কাদরি। ছবি: এ এফ পি
সরকার-বিরোধী আন্দোলনের জেরে দেশ জুড়ে তৈরি হওয়া রাজনৈতিক সঙ্কট কাটাতে তড়িঘড়ি পার্লামেন্টের যৌথ অধিবেশন ডাকল নওয়াজ শরিফ সরকার।
আজ থেকে শুরু হল অধিবেশন। চলবে আগামী বেশ কিছু দিন। প্রথম থেকেই ইস্তফা দিতে নারাজ নওয়াজ। সূত্রের দাবি, এই জরুরি অধিবেশনের মাধ্যমে আসলে তিনি জল মাপতে চাইছেন। পার্লামেন্টের দুই কক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি ও সেনেটের ঠিক কত জন সদস্য তাঁকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাইছেন, সেটাই পরখ করতে চাইছেন নওয়াজ।
অধিবেশনের প্রথম দিন যাঁরা বক্তৃতা দিলেন, তাতে নওয়াজের প্রতি সমর্থনেরই ইঙ্গিত মিলেছে। পাশাপাশি, ইমরান খান এবং তাহির উল কাদরির অনুগামীদের ‘সন্ত্রাসবাদী ও দেশদ্রোহী’ বলে তোপ দেগেছেন পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী চৌধুরি নিসার আলি খান। অধিবেশনের প্রারম্ভিক ভাষণে তিনি আজ বলেন, “বিরোধীরা গত কয়েক দিন ধরে যে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, দেশের অনেকেই হয়তো তাকে গণতান্ত্রিক আন্দোলন বলে মনে করছেন। এই ভুল ধারণাটাই ভেঙে দেওয়া উচিত। এটা প্রতিবাদ, আন্দোলন কিংবা রাজনৈতিক জমায়েত এ সব কিছুই নয়। সব ভণ্ড বিপ্লবী। আসলে দেশের বিরুদ্ধেই বিদ্রোহ করছে ওরা।” নিসার আলি খানের দাবি, গত কাল যারা পি টিভি-র দফতরে চড়াও হয়ে হামলা চালিয়েছে, তারা কোনও জঙ্গি সংগঠনেরই অংশ।”
নওয়াজের প্রতি গোটা পার্লামেন্টের সম্পূর্ণ সমর্থন রয়েছে বলে জানান বিরোধী পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতা এইতজাজ আহসান। প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, “আপনি যখন বলেছেন ইস্তফা দেবেন না, কেউ জোর করবে না আপনাকে।”
নওয়াজ নিজে অবশ্য আজ কিছুই বলেননি। পুরোদস্তুর পাকিস্তানি পোশাকে সজ্জিত পাক প্রধানমন্ত্রীকে আজ পার্লামেন্ট ভবনে আগাগোড়া দেখা গেল শুধুই ‘নোট’ নিয়ে যেতে।
ইমরান ও কাদরির নেতৃত্বে গত শনিবার থেকেই রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে ইসলামাবাদের ‘রেড জোন’। দপায় দফায় জনতা-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধও চলেছে। আজ অপ্রীতিকর কিছু না ঘটলেও প্রধানমন্ত্রীর ইস্তফার দাবিতে পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে ঘাঁটি গেড়ে বসে থাকতে দেখা গিয়েছে বিক্ষোভকারীদের। অচলাবস্থা সামাল দিতে নড়ে বসেছে পাক সুপ্রিম কোর্টও। সংবিধান মেনেই যাতে সুষ্ঠু সমাধান বেরিয়ে আসে, সেই আর্জি জানিয়ে নোটিস পাঠানো হয়েছে শাসক-বিরোধী সব দলকেই।
ইমরান অবশ্য এখনও দাবিতে অনড়। সমর্থকদের উদ্দেশে আজও বলেন, “প্রধানমন্ত্রী ইস্তফা না দেওয়া পর্যন্ত পিছু হটার প্রশ্ন নেই। গত নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি করে ক্ষমতায় এসেছেন তিনি। এর বিচার চেয়ে আমি ক্রমাগত দরবার করে এসেছি, লাভ হয়নি কিছুই। তাই এর শেষ দেখে ছাড়ব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy