Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

যাদব-প্রসঙ্গ টেনে পাল্টা পাকিস্তানের

যাদবের নাম না করেই লোধি বলেন, ‘‘অন্যের মনোভাব নিয়ে যারা প্রশ্ন তুলছে, তাদের আগে নিজেদের দিকে তাকানো উচিত। ওরা যে আমাদের দেশে নাশকতা চালাতে চায়, এই চর গ্রেফতার হওয়ার পরেই তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।’’

সংবাদ সংস্থা
রাষ্ট্রপুঞ্জ শেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০১৮ ০৩:২৯
Share: Save:

আন্তর্জাতিক মঞ্চে নয়াদিল্লিকে বিঁধতে গিয়ে ফের কূলভূষণ যাদবকেই অস্ত্র করল কোণঠাসা ইসলামাবাদ।

পাকিস্তান জঙ্গিদের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠছে বলে দীর্ঘদিন ধরে সুর চড়িয়ে আসছে ভারত। অবিলম্বে পাকিস্তানের এই জঙ্গি মনোভাব থেকে বেরিয়ে আসা উচিত বলে আজ রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদেও তোপ দাগেন ভারতীয় দূত সৈয়দ আকবরউদ্দিন। আর তার জবাব দিতে গিয়েই গত বছর মার্চে ধৃত ভারতীয় চর কূলভূষণের প্রসঙ্গ তোলেন রাষ্ট্রপুঞ্জে পাক রাষ্ট্রদূত মালিহা লোধি। চরবৃত্তির দায়ে পাকিস্তানের সেনা আদালত যাদবকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে।

যাদবের নাম না করেই লোধি বলেন, ‘‘অন্যের মনোভাব নিয়ে যারা প্রশ্ন তুলছে, তাদের আগে নিজেদের দিকে তাকানো উচিত। ওরা যে আমাদের দেশে নাশকতা চালাতে চায়, এই চর গ্রেফতার হওয়ার পরেই তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।’’

কিন্তু পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তো শুধু ভারতের নয়! সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পাকিস্তানের ভূমিকায় যে তারা খুশি নয়, হালে তা একাধিক বার স্পষ্ট করে দিয়েছে ওয়াশিংটনও। পাকিস্তানকে ‘প্রতারক’ তকমা দিয়ে ইতিমধ্যেই তাদের সামরিক খাতে বরাদ্দের একটা বড় অংশ ছেঁটে ফেলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সম্প্রতি লস্কর প্রধান হাফিজ সৈয়দের শাস্তি চেয়েও জোরালো বার্তা গিয়েছে ইসলামাবাদে। রাষ্ট্রপুঞ্জকে সাফ জানিয়ে দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন— জঙ্গিদের প্রশ্রয় দেওয়া বন্ধ না-করলে পাকিস্তানে সঙ্গে তাদের আর কোনও সম্পর্ক নেই। পাকিস্তান যদিও গোড়া থেকেই তাদের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে।

আজ রাষ্ট্রপুঞ্জে পাকিস্তানকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করতে গিয়ে ভারতীয় দূত জানান, ইসলামবাদের মদতে সন্ত্রাস ছড়ানো হচ্ছে পাক-অধিকৃত কাশ্মীরেও। সংখ্যালঘুদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার এবং সন্ত্রাসবাদের নীতির কারণেই ক্রমশ নিজের নাগরিদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে প্রশাসন। ভারতের আরও দাবি, আফগানিস্তানের মাটিতে নয়াদিল্লি যৌথ বাবে উন্নয়নের কাজ করছে৷ আর তাতে বাগড়া দিচ্ছে পাকিস্তানের হিংসাত্মক কার্যকলাপ৷ প্রতিবেশীর সঙ্গে এই শত্রুর মতো আচরণ বদলাক ইসলামাবাদ। আফগানিস্তান প্রসঙ্গে যদিও এ দিন আমেরিকাকে একহাত নেন পাক দূত। তাঁর কথায়, ‘‘বিশেষত আমেরিকা ওখানে নিজেরাই সমাধান বের করতে না পেরে, অন্যকে দোষারোপ করে চলেছে।’’

তবে তাঁর দেশ যে জঙ্গিদের স্বর্গরাজ্য নয়, লোধির এই দাবিকে এ দিন ২৪ জন বক্তার কেউই সমর্থন করেননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE