ভূমধ্যসাগরে যুদ্ধজাহাজ থেকে মিসাইল ছুড়ছে রাশিয়া। টার্গেট সিরিয়ায় আইএসের ঘাঁটি।
সেই সিরিয়াই আমেরিকা ও রাশিয়ার মধ্যে উত্তেজনার পারদটাকে আবার চড়িয়ে দিল। সম্পর্কের রসায়নটাকে করে তুলল জটিলতর!
ভূমধ্যসাগরে মোতায়েন যুদ্ধজাহাজ আর সাবমেরিন থেকে সিরিয়ায় আইএসের ঘাঁটি লক্ষ্য করে ৬টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে আমেরিকার কপালে ৩৬টি ভাঁজ ফেলে দিল রাশিয়া! কারণ, শুক্রবার আইএসের ঘাঁটিতে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র আছড়ে পড়েছে, মূলত সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাসার আল-আসাদকে কিছুটা দুশ্চিন্তামুক্ত করতে। আর আসাদকে ক্ষমতায় রাখতে চায় না বলেই সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের বিরোধী জোটের পিঠে সমর্থনের হাত রেখেছে আমেরিকা। গত রবিবার সেই ছবিটা আরও স্পষ্ট হয়েছে সিরিয়ার সরকারি বিমান ‘এসইউ-২২’কে মার্কিন নৌবাহিনীর একটি টহলদার যুদ্ধবিমান মাটিতে নামানোয়। ২০১৪ সালে আমেরিকা আইএসের বিরুদ্ধে সরকারি ভাবে যুদ্ধঘোষণা করার পর এই প্রথম কোনও মার্কিন যুদ্ধবিমান সিরিয়ার কোনও সরকারি বিমান ধ্বংস করল।
গত রবিবার প্রেসিডেন্ট আসাদ বিরোধী জোটের সমর্থনে মার্কিন যুদ্ধবিমানের ওই হানাদারির পাঁচ দিনের মাথায় শুক্রবার পূর্ব ভূমধ্যসাগরে মোতায়েন দু’টি ফ্রিগেট ‘অ্যাডমিরাল এসেন’ ও ‘অ্যাডমিরাল গ্রিগোরোভিচ’ এবং জলের নীচে থাকা একটি সাবমেরিন ‘ক্রাসনোদার’ থেকে ৬টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল রাশিয়া, সিরিয়ায় আইএসের ঘাঁটিগুলি লক্ষ্য করে। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এ দিন এই খবর দিয়ে জানিয়েছে, যে সব জায়গায় ওই ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রগুলি (যাদের নাম- ‘ক্যালিবার’) ফেলা হয়েছে, সেখানে অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ মজুত রাখত আইএস। গত রবিবারের মার্কিন যুদ্ধবিমানের হানাদারিকে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে ইতিমধ্যেই ‘সিরিয়ার সার্বভৌমত্বের ওপর ভয়ঙ্কর আঘাত, সামরিক আগ্রাসন’ বলে নিন্দা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- কাতারকে ১৩ দফা দাবি মানার ‘শেষ সুযোগ’ দিল ৪ আরব দেশ
ও দিকে, সিরিয়ায় এ দিনের রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হানার প্রতিক্রিয়ায় পেন্টাগন বলেছে, ‘‘সিরিয়া নিয়ে আমাদের নতুন করে ভাবতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy