ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।— ফাইল চিত্র।
এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান যাতে সরাসরি তেল আভিভে আসতে পারে, সে জন্য নিজেদের আকাশসীমা খুলে দিতে রাজি রয়েছে সৌদি প্রশাসন। ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক শেষে ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এমনটাই জানিয়েছেন। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নিয়ে কাজ করেন যাঁরা, তাঁদের একটা অংশের ধারণা, সৌদির এই সিদ্ধান্তে মধ্যপ্রাচ্যে কূটনৈতিক ভারসাম্য বদলে যেতে পারে। তাঁদের প্রশ্ন, তবে কি শত্রুতা কাটিয়ে কাছে আসছে ইজরায়েল-সৌদি আরব?
মার্কিন যুক্ত রাষ্ট্রের বন্ধু হলেও, এত দিন সৌদি আরব এবং ইজরায়েলের মধ্যে সম্পর্ক সাপে-নেউলের চেয়েও তিক্ত ছিল। গত ৭০ বছর ধরে নিজেদের আকাশসীমার মধ্যে ইজরায়েলি বিমানকে ঢুকতে পর্ষন্ত দেয়নি রিয়াধ। আর সেখানেই প্রশ্নটা উঠছে, আচমকা কী এমন হল, যাতে সাত দশকের তিক্ততা ভুলে গেল তারা? উত্তরটা এখনও খুব একটা স্পষ্ট হয়নি।
আকাশসীমা খুলে দেওয়ার বিষয়টা যদিও সরকারি ভাবে স্বীকার করেনি রিয়াধ। আবার অস্বীকারও যে করা হয়েছে, এমনটা নয়। এত দিন মুম্বই ও তেল আভিভের মধ্যে সপ্তাহে চার দিন করে বিমান চলত। সৌদি আরবের আকাশপথ ব্যবহার করার অনুমতি না থাকায় বিমানগুলিকে ইথিয়োপিয়া হয়ে ঘুরপথে যাতায়াত করতে হত। ফলে ৫ ঘণ্টার সফরের সময় বেড়ে ৭ ঘণ্টায় দাঁড়াত। সম্প্রতি ইজরায়েলে সপ্তাহে তিন দিন উড়ান চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া। কূটনীতিবিদদের একটা অংশের ধারণা, আকাশসীমা খুলে হয়তো বা ভারতকে সুস্পর্কের একটা বার্তা দিল সৌদি প্রশাসন।
আরও পড়ুন, ওজন বড় দায়, জাঙ্ক ভুলে স্যালাড-স্যুপে মন ট্রাম্পের
জল্পনা, এর ফলে খানিকটা হলেও বদলাতে পারে সৌদি-ইজরায়েল সম্পর্কের পুরনো সমীকরণ। উত্তর দেবে ভবিষ্যৎ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy