পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিলেন ১১ বছর বয়সে। মাঝে সামান্য সময়ের জন্য পরিবারের সঙ্গে দেখা হলেও পরের মিলনের জন্য অপেক্ষা করতে হল দীর্ঘ ৪৮ বছর! এখন তাঁর বয়স ৭৬। সৌজন্যে ফেসবুক।
ফেরা যাক সেই ১৯৫১ সালে। যখন বর্তমানে পাকিস্তানের নাগরিক হামজার বয়স ছিল মাত্র ১১ বছর। কেরলে পরিবারের সঙ্গেই থাকতেন হামজা। এক দিন গবাদি পশুদের মাঠে চড়াতে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। আর বাড়ি ফেরেননি। ঘুরে বেড়ানোর নেশা তাঁকে নিয়ে গিয়ে ফেলে পাকিস্তানের করাচিতে। সেখানেই টুকটাক কাজ করে পেট চালাতেন। কয়েকটা বছর এ ভাবেই কাটিয়ে দেন। কিন্তু কোনও ভাবেই পরিবারের প্রতি পিছুটান থেকে মুক্তি মিলছিল না। পাকিস্তান সীমানা অতিক্রম করে এ দেশে আসাটাও যে নেহাত সোজা নয় বার বার তা টেরও পাচ্ছিলেন তিনি। যখন তাঁর ২৮ বছর বয়স, সে সময় এক দিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাজস্থানের সীমান্ত পেরিয়ে চলে আসেন কেরলে, পরিবারের কাছে। কয়েক দিন সেখানে থেকেও ছিলেন। কিন্তু ফিরে আসতে হয় পাকিস্তানে। সেই শেষ দেখা পরিবারের সঙ্গে। আর যোগাযোগ করা যায়নি কাছের মানুষগুলোর সঙ্গে। তার পরে কেটে গিয়েছে আরও ৪৮টা বছর। আশা যখন প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলেন, তখনই ফেসবুকের মাধ্যমে ফের যোগাযোগ। এ বারে অবশ্য চেষ্টা তাঁর নয়। ফেসবুকে তাঁর মেয়ের সঙ্গে দাদা মম্মিকুট্টিসের নাতির বন্ধুত্ব অনেক দিন ধরেই। সেখানে কথা প্রসঙ্গেই খোলসা হয় বিষয়টা। জানা যায়, তাঁদের বাবা এবং দাদু আদপে দুই ভাই। ঠিক হয় দুই ভাইকে দেখা করানোর। আর হয়ও তাই। ৪৮ বছর স্মৃতি আঁকড়ে বেঁচে থাকার পর অবশেষে আবু ধাবিতে দেখা হল পরিবারের সঙ্গে। বর্তমানে আবু ধাবিতেই রয়েছে তাঁর পরিবার।
আরও পড়ুন: রানিকে উদ্ধার করতে ২৪ ঘণ্টা গাড়ি ধাওয়া করল মৌমাছির ঝাঁক
শুধু আক্ষেপ একটাই, বড্ড দেরি হয়ে গেল। মায়ের সঙ্গে আর দেখা হল না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy