রাজপ্রীত হেয়ার
ফের ট্রাম্পের দেশে বর্ণবিদ্বেষের শিকার হলেন এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত। নিউ ইয়র্কের সাবওয়ে ট্রেনে এক তরুণীকে পশ্চিম এশিয়ার মানুষ ভেবে হেনস্থা করেন সাদা চামড়ার এক ব্যক্তি। ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই আমেরিকায় বারবার বর্ণবিদ্বেষ ও জাতিবিদ্বেষের শিকার হয়ে চলেছেন দক্ষিণ এশিয়ার মানুষেরা।
ম্যানহাটনে বন্ধুর জন্মদিনের পার্টি থেকে ফেরার পথে সাবওয়েতে উঠেছিলেন বছর তিরিশের রাজপ্রীত হেয়ার। ভিড়ে ঠাসা ট্রেনের মধ্যে দাঁড়িয়ে নিজের মনেই মোবাইল ঘাঁটছিলেন। হঠাৎই এক ব্যক্তি তাঁর দিকে চিৎকার করতে করতে এগিয়ে আসেন। তাঁর দিকে আঙুল তুলে বলেন, ‘‘তুমি এ দেশের কেউ নয়, লেবাননে ফিরে যাও!’’ রাজপ্রীত জানাচ্ছেন, ভয়ে ট্রেনের দেওয়ালে প্রায় সেঁধিয়ে যান তিনি। তবে সে সময় অন্য যাত্রীরাই তাঁকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন। পিঠে হাত রেখে ভরসাও জোগান অনেকে। পরবর্তী স্টেশনে নেমে পুলিশকে ঘটনাটি রিপোর্টও করেন রাজপ্রীতের কয়েক জন সহযাত্রী।
রাজপ্রীত আদতে এক জন ভারতীয় বংশোদ্ভূত, ধর্মে শিখ। লেবানন নয়, আমেরিকারই ইন্ডিয়ানায় জন্ম, এবং সেখানেই বড় হয়ে ওঠা রাজপ্রীতের। চামড়ার রং দেখেই হয়তো তাঁকে পশ্চিম এশিয়ার বাসিন্দা বলে ভেবে নিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। তার জেরেই ওই সাদা চামড়ার ব্যক্তির রোষের মুখে পড়তে হয় রাজপ্রীতকে। তাঁর কথায়, ‘‘বর্ণবিদ্বেষ যে কী ভাবে হিংসায় রূপান্তরিত হতে পারে, তারই প্রমাণ এই ঘটনা।’’
অবশ্য এর প্রমাণ আগেই পেয়েছে আমেরিকা। বিশেষ করে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে। ক’দিন আগেই বর্ণবিদ্বেষের শিকার হয়ে প্রাণ গিয়েছে শ্রীনিবাস কুচিভোটলা, হার্নিশ পটেলের মতো তরুণদের। ‘নিজের দেশে ফিরে যাও’ বলে স্লোগান তুলে গুলি করা হয় ভারতীয় বংশোদ্ভূত শিখ যুবক দীপ রাইকে। নিউ ইয়র্কের একটি মানবাধিকার সংস্থা জানাচ্ছে, গত কয়েক মাসে এ ধরনের অসংখ্য অভিযোগ জমা পড়েছে। গত মাসেও সাবওয়ের ভিতরে এমন ভাবেই হেনস্থার শিকার হন একতা দেশাই নামে এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহিলা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy