আদালতে: রবিবার ঢাকায় মুফতি হান্নান। নিজস্ব চিত্র
সাবেক ব্রিটিশ হাই কমিশনারের ওপর বোমা হামলার মামলায় হুজি-বি (হরকতুল জিহাদ আল ইসলামি বাংলাদেশ)-র সর্বোচ্চ নেতা মুফতি হান্নান ও দুই সহযোগীর ফাঁসির রায় বহাল রাখল বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
সিলেটে হজরত শাহজালাল-এর মাজারে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ হাই কমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর উপর ২০০৪-এ বোমা হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। এই হামলায় আনোয়ার-সহ ৭০ জন জখম হন। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, হুজি-র মাথা মুফতি হান্নান এই হামলার হোতা। ২০০৫-এর ১ অক্টোবর ঢাকায় গ্রেফতার হয় হান্নান।
উত্তরপ্রদেশের দেওবন্দ মাদ্রাসা ও আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মুফতি আব্দুল হান্নানের জন্ম বাংলাদেশের গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায়। পাকিস্তানের পেশোয়ারে অস্ত্র প্রশিক্ষণের পরে সে মুজাহিদিনের হয়ে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়তে আফগানিস্তানে চলে যায়। দেশে ফেরার এক বছর পরে ১৯৯৪-এ আফগান যুদ্ধ ফেরত মুজাহিদদের সংগঠন হুজি-বি-র সদস্য হয় হান্নান। অল্প সময়ের মধ্যেই সংগঠনের মাথা হয়ে ওঠা হান্নানের নাম প্রথম জানা য়ায় ২০০০ সালে কোটালিপাড়ায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভার মাঠে ৭৬ কিলোগ্রাম ওজনের বোমা পুঁতে রাখার ঘটনায়। তল্লাশিতে বোমাটি ধরা পড়ে যায়। এর পরে ২০০১-এ ঢাকার রমনার বটমূলে বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে বোমা হামলায় ১০ জন নিহত ও ১৫০ জন আহত হওয়ার ঘটনা, সেই বছরই সিপিবি-র সমাবেশে বোমা হামলা, ২০০৪-এ ঢাকায় তৎকালীন বিরোধী নেত্রী শেখ হাসিনার সভায় বোমা হামলায় ২২ জন নিহতের ঘটনায় প্রধান চক্রান্তকারী হিসেবে হান্নানের নাম উঠে আসে। তার নেতৃত্বে ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ জুড়ে সংগঠন ছড়িয়েছিল হুজি।
সুপ্রিম কোর্ট তার ফাঁসির রায় বহাল রাখার পরে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার জন্য ৭ দিন সময় পাবে হান্নান। অন্য জঙ্গিদের মতো সেই আবেদন করতে সে অস্বীকার করলে, তার ফাঁসি শুধু সময়ের অপক্ষা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy