যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার মাটিতে দাঁড়িয়ে এ বার সরকারি বাহিনীর সঙ্গেই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ল আমেরিকা। সূত্রের খবর, স্থানীয় সময় গত কাল বিকেলে একটি সিরীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে নামিয়েছে মার্কিন সেনা জোট। গত ছ’বছরে এমন ঘটনা এই প্রথম। পেন্টাগনের দাবি, আমেরিকা সমর্থিত বিদ্রোহীদের বাঁচাতেই বাশার আল-আসাদ সরকারের ওই যুদ্ধবিমানের উপর হামলা চালিয়েছে তারা। যদিও সিরিয়া জানিয়েছে, রাকায় আইএস-বিরোধী অভিযানেই অংশ নিতে যাচ্ছিল তাদের বিমান। ঘটনাটিকে স্পষ্টতই মার্কিন আগ্রাসন বলছে দামাস্কাসের একটা বড় অংশ। জঙ্গিদের সঙ্গে আমেরিকার গোপন আঁতাঁতের যে অভিযোগ ছিল, এই ঘটনার পরে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে তা নিয়েও।
বিষয়টা নিয়ে জলঘোলা হচ্ছে দেখেই তড়িঘড়ি মাঠে নামে আমেরিকা। আত্মপক্ষ সমর্থনে পাল্টা বিবৃতি দিয়ে মার্কিন সেনা জোট জানায়, আসাদ-বিরোধী সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সের (এসডিএফ) উপর এর আগে একাধিক বার চড়াও হয়েছে সিরীয় সেনা। এ দিনও এসডিএফের ঘাঁটি লক্ষ করেই হামলা চালাতে আসছিল ওই যুদ্ধবিমান। আর তা রুখতেই গত কাল তাবকা শহরের দক্ষিণে এসইউ-২২ মডেলের ওই বিমানটিকে গুলি করে নামায় তারা। মার্কিন সেনা জোট গত এক মাসে সিরিয়া বাহিনীর উপর অন্তত চার বার হামলা করেছে বলে দাবি করেছে পেন্টাগনই। তবে গুলি করে যুদ্ধবিমান নামানোর ঘটনা এই প্রথম।
হামলার নিন্দায় সিরিয়ার জাতীয় টিভি চ্যানেল তাদের সেনাবাহিনীকে উদ্ধৃত করে জানায়, বিমান ধ্বংস হওয়ার পর থেকেই বিমানচালক নিখোঁজ, সম্ভবত নিহত। হামলার জন্য আমেরিকাকে কঠিন মূল্য দিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে আসাদ-সরকার। সুর চড়িয়েছে রাশিয়াও।
কিন্তু আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের কী হবে? সিরীয় সেনার দাবি, আমেরিকার এই হঠাৎ হামলায় বড়সড় ধাক্কা খেল তাদের জঙ্গি-দমন অভিযান। মিত্র দেশ ইরান যদিও এর পরেও পিছু হটতে নারাজ। সূত্রের খবর, গত কালই সিরিয়ার দেইর আল-জোর প্রদেশে আইএস ঘাঁটি লক্ষ করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে তেহরান। দিন কয়েক আগে তেহরানে জঙ্গিদের জোড়া হামলার জবাবেই এই পদক্ষেপ বলে জানিয়েছে ইরান। প্রয়োজনে আরও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হবে বলে আজ হুমকিও দিয়েছে ইরানের রেভলিউশনারি গার্ড।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy