These historical discoveries still remain mysterious dgtl
International News
এখনও অজানা ইতিহাসের এই সব রহস্য!
ইতিহাসের পাতায় পাতায় ছড়িয়ে রয়েছে রহস্যের নানা উপাদান। জাপানের সমুদ্রের নীচের শহর বা ইউরোপের মাটির গভীরের টানেল— দুনিয়ার নানা প্রান্তে এমন অসংখ্য আবিষ্কারের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে এক গুচ্ছ প্রশ্নও। যার জবাব এখনও অজানা।
সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ১৫:১৪
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১০৮
স্কটল্যান্ড থেকে তুরস্ক— প্রায় গোটা ইউরোপ জুড়েই মাটির নীচে ছড়িয়ে রয়েছে প্রস্তর যুগের অসংখ্য টানেল।<br>
তবে কী উদ্দেশ্যে এটি তৈরি করা হয়েছিল তা নিয়ে আজও ধোঁয়াশা কাটেনি। অনেক গবেষকের মতে,<br>
বন্যপ্রাণী বা চরম আবহাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পেতেই তা গড়া হয়েছিল। আবার অনেকের দাবি,<br>
এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাতায়াতের সুবিধার জন্যই এই টানেলগুলি ব্যবহার করা হত।
০২০৮
পেরুর সাকসেওয়ামান মন্দির চত্বরে রয়েছে একের পর এক অসংখ্য পাথর দিয়ে সাজানো স্থাপত্য।<br>
দু’টি পাথরের মাঝে একটুও ফাঁক নেই। এমনকী একটি কাগজের টুকরোও গলানো যায় না তাতে।<br>
কিন্তু, কী ভাবে তা গড়ে উঠল সে নিয়েও গবেষকদের মধ্যে ধোঁয়াশা রয়েছে।
০৩০৮
বলিভিয়ার প্রাচীন শহর তিয়ানাকুতে রয়েছে একটি সূর্যতোরণ। প্রত্নতত্ত্ববিদদের<br>
একাংশের মতে, খ্রিস্টপূর্বাব্দের প্রথম শতকে এটি কোনও সাম্রাজ্যের কেন্দ্রস্থল ছিল।<br>
তবে এই তোরণের গায়ে খোদাই করা লিপির অর্থ আজও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
০৪০৮
চিনের লংয়ুও গুহাগুলি তৈরি করা হয়েছে বেলেপাথর দিয়ে। তবে এ ধরনের গুহা তৈরি করতে<br>
হাজার হাজার শ্রমিকের প্রয়োজন। কিন্তু, ইতিহাসের পাতায় সে বিষয়ে কোনও উল্লেখ পাওয়া যায়নি।
০৫০৮
মিশরের অসমাপ্ত স্মারকস্তম্ভ নিয়েও গবেষকদের মনে অজস্র প্রশ্ন রয়েছে।<br>
একটি বিশাল আকারের পাথরের বুকে ওই স্মারকস্তম্ভ তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল।<br>
পাথরে চিড় ধরায় স্তম্ভ বানানো বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে এর আকৃতি নিয়ে<br>
বা কী উদ্দেশ্যে ওই স্মারক বানানো হচ্ছিল সে উত্তর এখনও অজানাই রয়ে গিয়েছে।
০৬০৮
জাপানের ইয়োনাগুনিতে সমুদ্রতলের শহর নিয়েও কৌতূহলের শেষ নেই। ডাইভিং প্রশিক্ষক কিয়াশিরো আরাতাকে<br>
আচমকাই এটি খুঁজে পান। প্রত্নতত্ত্ববিদদের দাবি, যে সব পাথর থেকে এটি তৈরি করা হয়েছিল তা<br>
১০ হাজার বছর আগে থেকেই জলে ডুবেছিল। অর্থাৎ মিশরের পিরামিডের আগেও এই শহর তৈরি হয়েছিল।<br>
কিন্তু, এখানেই উঠছে প্রশ্ন। প্রত্নতত্ত্ববিদদের একাংশের মতে, সেই প্রাচীন কালে মানুষ গুহায় বাস করত।<br>
তবে কী ভাবে সমুদ্রের গভীরে গড়ে উঠল এই শহর তার সদুত্তর দিতে পারেননি তাঁরা।
০৭০৮
পাকিস্তানের মহেঞ্জোদড়ো নিয়ে আজও বহু প্রশ্নের জবাব মেলেনি।<br>
১৯২২ সালে রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় এটি আবিষ্কার করেন। তবে কী ভাবে<br>
এই উন্নত শহর ধ্বংস হয়ে গেল বা এর বাসিন্দাদেরই বা কী হল সে জবাব আজও অজানা।
০৮০৮
১৫০০ সাল নাগাদ বিলুপ্ত হয়ে যায় মোয়া পাখি। অনেকটা উট পাখির মতো দেখতে<br>
এই বিশালাকায় পাখিদের দেখা যেত নিউজিল্যান্ডে। অনেকের মতে, সে দেশের মাউরি আদিবাসীদের<br>
যথেচ্ছ শিকারের জেরে এই পাখিদের বিলোপ ঘটে। বিংশ শতকে একটি অভিযানে মোয়া পাখির একটি<br>
নখ-সহ থাবা উদ্ধার হয়। কে বা কারা যেত তা সযত্নে রেখে দিয়েছে তা আজও উদ্ধার করতে পারেননি গবেষকরা।