Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
হত বেড়ে ৯৫

বিস্ফোরণের প্রতিবাদে পথে মানুষ

রাস্তায় রক্তের দাগ এখনও তাজা। আবার হামলা হতে পারে, লোকের মনে সে আতঙ্ক এখনও তাড়া করেছে। তার মধ্যেই রবিবার আঙ্কারার সেন্ট্রাল স্টেশনের সামনে ফের জড়ো হলেন কয়েক হাজার মানুষ। গত কাল শান্তি সমাবেশে জোড়া বিস্ফোরণের প্রতিবাদে।

প্রতিবাদে পথে। ছবি: রয়টার্স।

প্রতিবাদে পথে। ছবি: রয়টার্স।

সংবাদ সংস্থা
আঙ্কারা শেষ আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০১৫ ০৩:০৪
Share: Save:

রাস্তায় রক্তের দাগ এখনও তাজা। আবার হামলা হতে পারে, লোকের মনে সে আতঙ্ক এখনও তাড়া করেছে। তার মধ্যেই রবিবার আঙ্কারার সেন্ট্রাল স্টেশনের সামনে ফের জড়ো হলেন কয়েক হাজার মানুষ। গত কাল শান্তি সমাবেশে জোড়া বিস্ফোরণের প্রতিবাদে।

সরকারি সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত ৯৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বিস্ফোরণে। কিন্তু বিরোধীদের দাবি, নিহত আসলে ১২৮। আর তা আরও বাড়তে পারে। জখম ২৪৬ জনের মধ্যে ৪৮ জনের অবস্থা সঙ্কটজনক।

‘‘একটা শান্তি সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল। ...তুর্কি ও কুর্দদের মধ্যে মৈত্রীর সম্ভাবনা মনে হয় এ বার সমূলে উপড়ে গেল,’’ বলছেন অনেকেই। যদিও বিক্ষোভকারীদের একাংশ আজও বলেছে, ‘‘সবটাই প্রেসিডেন্ট তাইয়েপ এর্দোগানের চক্রান্ত। দেশকে দু’টুকরো করে দিতে চাইছেন উনি। এক দল লোককে অন্যদের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে দিতে চাইছেন, আর তার অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছেন কুর্দ-সমস্যাকে।’’ তাঁদের এখন ভয়, কয়েক সপ্তাহ পরেই পার্লামেন্টের নির্বাচন। এ ধরনের নাশকতা আরও ঘটবে।

শুধু আঙ্কারাই নয়, মিছিল বেরিয়েছিল দেশের অন্য প্রান্তেও। অনেকে আবার লাল ফুলের তোড়া নিয়ে এসেছিলেন নিহতদের শ্রদ্ধা জানাতে। লাঞ্চলাইমের বিরতিতে অনেকেই বেরিয়ে পড়েছিলেন অফিস থেকে। পা মিলিয়েছেন প্রতিবাদ মিছিলে। কিছু রাজনৈতিক মুখও দেখা যায়। বিস্ফোরণস্থলে ফুল দিতে এসেছিলেন বিরোধী দলের কয়েক জন নেতা। পুলিশ তাঁদের পথ আটকায়। ফলে হাতাহাতি-গোলমাল বাধে। বিক্ষোভ সামলাতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। এ সব দেখে আরওই জোরালো হচ্ছে স্থানীয় মানুষের ধারণা, পুরোটাই সুপরিকল্পিত রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE