বিয়ের প্রথম রাতের স্বামী-স্ত্রীর অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিয়ো তুলে রাখতেন স্বামী নিজেই। তার পর সেই ভি়ডিয়োগুলি অনলাইনে প্রকাশ করে দেওয়ার জন্য ভয় দেখানো হত স্ত্রীকে। মুখ বন্ধ রাখার জন্য স্ত্রীর উপর চলত অকথ্য শারীরিক ও যৌন নির্যাতন। সেই সঙ্গেই জোর করে মাদক পাচার চক্রে সামিল করানো হত স্ত্রীদের। দীর্ঘদিন ধরে সেই সব অত্যাচার সহ্য করে এ বার মুখ খুলেছেন অত্যাচারিত পাকিস্তানি মহিলারা। জানিয়েছেন, কী ভাবে এই বিবাহ চক্রের শিকার হয়েছেন তাঁরা।
অভিভাবকদের পাশে নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে ওই মহিলারা জানান, প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে আর বিদেশে থাকার লোভ দেখিয়ে তাঁদের বিয়ে করে নিয়ে যেতেন ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত পাক যুবকরা। তার পর কখনও তাঁদের পাচার করার চক্রান্ত চলত, কখনও তাঁদের দিয়ে মাদক পাচারের মতো অপরাধমূলক কাজ করানো হত। পাকিস্তানের মিরপুরের একটি প্রেস ক্লাবে সম্প্রতি সাংবাদিক বৈঠকে এমনই নির্যাতনের কথা জানিয়েছেন অন্তত ১৫ পাক যুবতী।
চক্রের পাণ্ডা হিসেবে উঠে এসেছে মুমতাজ ওরফে তাজা পালোয়ান নামে এক পাক যুবকের নাম। ওই সব পাক বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ যুবক একাধিক বিয়ে করতেন বলে অভিযোগ। কখনও কখনও স্ত্রীকে ব্রিটেনে না নিয়ে গিয়ে পাকিস্তানেই রেখে দেওয়া হত। কোনও কোনও যুবকের পরিবার গোটা ঘটনা জানা সত্ত্বেও মেয়ের পরিবারের কাছে মুখ খুলত না। কিছু যুবকের অভিভাবক আবার পাচার চক্রেও জড়িত।
মুমতাজের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে তাঁরই দুই আত্মীয় মহম্মদ আলি ও আনজার আলির। অভিযোগ, মুমতাজ ৭ পাক যুবতীকে বিয়ে করেছেন। আনজার ৫ আর মহম্মদ ২ জনকে। অত্যাচারিত যুবতীদের অভিযোগে মুমতাজদের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। তাঁরা সকলেই পলাতক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy