Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

বৈঠক ফলপ্রসূ না হলেই ‘ওয়াক আউট’

ডোনাল্ড ট্রাম্প সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, কিম জং উনের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ না হলে ‘ওয়াক আউট’ করবেন তিনি!

ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ডোনাল্ড ট্রাম্প।

সংবাদ সংস্থা
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০১৮ ০১:৫০
Share: Save:

ক্ষেত্র তৈরি করে রাখতে সিআইএ প্রধান মাইক পম্পেওকে পাঠিয়েছেন উত্তর কোরিয়ায়। তবু নিঃসংশয় হতে পারছেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তাই ডোনাল্ড ট্রাম্প সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, কিম জং উনের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ না হলে ‘ওয়াক আউট’ করবেন তিনি!

মে-জুন নাগাদ বৈঠকে বসার কথা ট্রাম্প ও কিমের। দুই দেশের কর্তারা এই বৈঠকের জন্য আমেরিকার বাইরে পাঁচটি জায়গার খোঁজ করছেন। তার আগে গত সপ্তাহে নিজের প্রতিনিধি হিসেবে সিআইএ-র অধিকর্তা মাইক পম্পেওকে উত্তর কোরিয়া পাঠিয়েছিলেন ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিজেই টুইট করেছেন, ‘‘কিমের সঙ্গে পম্পেওর আলোচনায় উঠে আসা বিষয়গুলি নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে। পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে শুধু বিশ্বের নয়, উত্তর কোরিয়ারও ভাল হবে।’’ তার পরে বুধবার জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেকে পাশে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে ট্রাম্প বলেন, ‘‘কিমের সঙ্গে আলোচনায় সব চেয়ে বেশি জোর দেওয়া হবে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের উপরে।’’ যৌথ এই সাংবাদিক বৈঠকের আগে ফ্লোরিডার মার-আ-লাগো রিসর্টে আবের সঙ্গে বৈঠক করেন ট্রাম্প।

কিন্তু এত কিছুর পরেও কিমের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের সাফল্য নিয়ে সন্দিহান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, ‘‘বৈঠকের সময়ে যদি দেখি তা ব্যর্থ হতে যাচ্ছে, তা হলে আমি সম্মানের সঙ্গে সেখান থেকে বেরিয়ে আসব। এবং আমরা সেটাই করব, যা আমরা করে যাচ্ছি। তবে কিছু একটা ঘটবে।’’ ট্রাম্পের এই বক্তব্যকে পিয়ংইয়ংয়ের শাসককে চাপে রাখার কৌশল হিসেবেই দেখছেন কূটনীতিকরা। তবে ট্রাম্পের আশা, কিমের সঙ্গে তাঁর বৈঠক সফল হবে।

আর এই বৈঠকের আগে পম্পেও-কিমের বৈঠককে তাৎপর্যপূণ হিসেবেই দেখছেন কূটনীতিকরা। ২০০০ সালের পরে দুই দেশের মধ্যে এত উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হল। এর কৃতিত্ব নিতে কসুর করছেন না ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্টের দাবি, পূর্বসূরিরা যা করতে পারেননি, তাঁর প্রশাসন সেটাই করে দেখিয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘বহু বছর ধরে তাঁরা উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।’’ কিমের সঙ্গে বৈঠকে উত্তর

কোরিয়ার বন্দি তিন মার্কিন নাগরিকের মুক্তি নিয়েও কথা হবে বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। কোরীয় উপদ্বীপের শান্তি, নিরাপত্তা এবং উন্নতির জন্য উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া একযোগে কাজ করবে বলেও আশাপ্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। উত্তর কোরিয়া নিয়ে ট্রাম্পের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন আবেও। উত্তর কোরিয়ার সম্পূর্ণ পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

বসে নেই কিমও। বিশ্বের দরবারে নিজের ‘একনায়ক’ ভাবমূর্তি ঝেড়ে ফেলতে একের পর এক রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তুতি নিচ্ছেন পিয়ংইয়ংয়ের শাসক। ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের আগে আগামী শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইনের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা তাঁর। গত মাসেই স্ত্রী রি সোল জুকে নিয়ে চিন সফরে গিয়েছিলেন কিম। এর মধ্যেই নিজে রি-কে ‘ফাস্ট লেডি’-র উপাধি দিয়েছেন তিনি। সংবাদমাধ্যমের দাবি, উত্তর কেরিয়ার ৪০ বছরের ইতিহাসে প্রথম এই উপাধি ব্যবহার করা হল। কিমের এই পদক্ষেপ তাঁর ভাবমূর্তি বদলাতে বিশেষ সাহায্য করবে বলেই মনে করছেন কূটনীতিকেরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Kim Jong Un Donald Trump
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE