হোয়াইট হাউসে এসেই আউটসোর্সিং বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। পরে সুর পাল্টালেও তাইওয়ানে ‘এক চিন’ নীতি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন। বাণিজ্যিক সম্পর্ক নিয়েও তরজা চলছে। তার মধ্যেই এ বার চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিংকে নেমন্তন্নের চিঠি পাঠাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এপ্রিলে ফ্লোরিডার মার-আ-লাগো এস্টেটে বিশেষ সম্মেলনের আয়োজন করছে প্রেসিডেন্টের দফতর।
গত মাসে এই মার-আ-লাগো এস্টেটেই জাপানি প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এ বার হয়তো তাঁর ডাকে সাড়া দিতে চলেছে বেজিংও। হোয়াইট হাউস যদিও এখনই এ নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ। শুধু জানা গিয়েছে, মার্কিন বিদেশসচিব রেক্স টিলারসন এই সপ্তাহেই বেজিং সফরে যাবেন। এপ্রিলের সম্মেলনে চিনফিং আসবেন কি না, চিনা কর্তাদের সঙ্গে কথা বলে টিলারসনই তা নিশ্চিত করবেন। ইতিমধ্যে আমেরিকা যদি বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লুটিও) নিয়ম মেনে না চলে তা হলে বাণিজ্য-যুদ্ধের হুমকি দিয়েছে চিন। তাদের অভিযোগ, আন্তর্জাতিক নিয়ম ভেঙে চিনা পণ্যের উপরে একতরফা শুল্ক বসাচ্ছে আমেরিকা।
বৈঠকে কী নিয়ে কথা হবে? বাণিজ্য প্রসঙ্গ উঠবে কি না, জানা যায়নি। তবে দেশের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এই মুহূর্তে উত্তর কোরিয়াকেই সব চেয়ে বড় হুমকি বলে মনে করছে ট্রাম্প প্রশাসন। অনেকেরই ধারণা, পিয়ংইয়ং-কে চাপে রাখতে ওই বৈঠকে চিনের সাহায্য চাইতে পারে আমেরিকা। এমন ইঙ্গিত ট্রাম্প নিজেই দিয়েছেন। দুই রাষ্ট্রনেতার কথা হতে পারে দক্ষিণ চিন সাগর নিয়েও। অভিযোগ, আন্তর্জাতিক আদালতের রায় উড়িয়ে দিয়ে চিন সেখানে কৃত্রিম দ্বীপ বানিয়েই চলেছে। যা নিয়ে সুর চড়িয়েছে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy