দু’দিন আগেই টুইটারে ফলাও করে ঘোষণা করেছিলেন তাঁর লন্ডন সফর বাতিলের কথা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, লন্ডন শহরের যে এলাকায় নয়া মার্কিন দূতাবাস খোলার কথা, তা তাঁর না-পসন্দ। ফেব্রুয়ারির শেষে সেই দূতাবাস উদ্বোধন করবেন না বলেই আপাতত লন্ডন যাচ্ছেন না তিনি। কিন্তু একটি ব্রিটিশ দৈনিকে দাবি করা হয়েছে, লন্ডনের মেয়র সাদিক খানের ট্রাম্প-বিরোধী প্রচারেই আপাতত পিছু হটেছেন ট্রাম্প। বিক্ষোভের মুখে পড়ার ভয়ে লন্ডন শহরে পা রাখতে ভয় পাচ্ছেন তিনি।
ট্রাম্পের এক ঘনিষ্ঠের মন্তব্যকে তুলে ধরে ওই দৈনিক দাবি করেছে, লন্ডনের মেয়র সাদিক আর ব্রিটেনের লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন লাগাতার বলে আসছেন, লন্ডনে ট্রাম্পের মতো ব্যক্তিত্ব আদৌ স্বাগত নন। আর সেই প্রচারে সমর্থন জানিয়েছেন শহরের অনেক মানুষই। তিনি লন্ডন গেলে যদি প্রতিবাদ-বিক্ষোভ হয়, সেই ভয়েই লন্ডন যেতে চাইছেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ওই ঘনিষ্ঠ আরও জানিয়েছেন, ব্রিটেনের মানুষযে তাঁকে খুব একটা পছন্দ করছে না, এটা ট্রাম্প ভাল ভাবে বুঝে গিয়েছেন। ট্রাম্প নিজের সফর বাতিলের কথা ঘোষণা করার পর পরই সাদিক খান টুইট করেছিলেন, ‘‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প লন্ডনবাসীর তরফ থেকে এই বার্তাটাই পেয়েছেন যে, আমরা আমেরিকাকে ভালবাসি কিন্তু ওঁর নীতি আমাদের শহরের মূল্যবোধের একেবারে বিপরীত বলে মনে করি।’’
গত কাল লন্ডনের ফেবিয়ান সোসাইটিতে সাদিক খানের একটি অনুষ্ঠানে হাঙ্গামা বাধান ট্রাম্পের কিছু সমর্থক। সেই বিষয়টি নিয়েও ট্রাম্পকে বিঁধেছেন সাদিক।
হোয়াইট হাউস অবশ্য ট্রাম্পের এই ব্রিটিশ সফর বাতিল নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে। ব্রিটিশ সরকার ট্রাম্পের সফর নিয়ে প্রস্তুতি প্রায় সেরে ফেলেছিল। তারাও পড়েছে বিপাকে। এখানে এলে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের বালমোরাল এস্টেটে গল্ফ খেলার কথাও বলে রেখেছিলেন ট্রাম্প। সেখানেও প্রস্তুতি চলছিল সেই মতো। আপাতত সবই স্থগিত।
প্রেসিডেন্টের এই আচমকা সফর বাতিল দু’দেশের সুসম্পর্কে গভীর প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, ব্রেক্সিট পরবর্তী বাণিজ্য চুক্তি যতটা মসৃণ পথে হবে বলে টেরেসা মে ভেবে রেখেছিলেন, তা সে ভাবে না-ও হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy