ছবি: এএফপি।
সিরিয়ার দুমায় রাসায়নিক হামলার দু’সপ্তাহ পরে সেখানে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করতে পারলেন রাষ্ট্রপুঞ্জের ‘দি অর্গ্যানাইজ়েশন ফর দ্য প্রোহিবিশন অব কেমিক্যাল ওয়েপন্স’ (ওপিসিডব্লিউ)-এর তদন্তকারীরা। সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষার জন্য নেদারল্যান্ডসে পাঠানো হবে।
এত দিন পর পাওয়া নমুনা তদন্তে কতটা সাহায্য করবে, তা নিয়ে উদ্বেগে বিশেষজ্ঞদের একাংশ। এক বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘‘ঘটনার প্রাথমিক লক্ষণ দেখে মনে হয় এই রাসায়নিক হামলায় ক্লোরিনের ব্যবহার হয়েছে। ক্লোরিন জলে মিশে যায়। তাই বেশি দেরি হলে মাটি থেকে এর নমুনা সংগ্রহ করা মুশকিল হয়ে যায়।’’
এর আগে দু’টি জায়গা পরিদর্শন করতে এসে ব্যাপক বাধার সম্মুখীন হয় রাষ্ট্রপুঞ্জের পাঠানো তদন্তকারী দল। অভিযোগ, ভিড়ের চাপে প্রথম জায়গায় পৌঁছতেই পারেননি তাঁরা। দ্বিতীয় সাইট পরিদর্শনে গিয়ে গোলাগুলির মুখে পড়ে ফিরে আসতে হয় তাঁদের। শেষমেশ শনিবার একটি সাইট পরিদর্শন করতে পেরেছেন ওপিসিডব্লিউ তদন্তকারীরা। এর ভিত্তিতে তদন্তের পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণ করবেন তাঁরা। মাটির নমুনা সংগ্রহের পাশাপাশি জৈব নমুনা এবং বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের চিকিৎসা সংক্রান্ত নথিও সংগ্রহ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
সপ্তাহের গোড়াতে মার্কিন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র হেদার নোয়ার্ট অভিযোগ তুলেছিলেন, প্রমাণ লোপাটের স্বার্থেই ঘটনাস্থল সাফ করার চেষ্টা করছে সিরিয়া সরকার এবং রুশ আধিকারিকেরা। তদন্তে বাধা দেওয়াই তাঁদের প্রধান উদ্দেশ্য।
এ দিকে, শনিবার সিরিয়ার রাকা অঞ্চলের একটি ফুটবল পিচের নীচে সন্ধান পাওয়া গেল জেহাদিদের তৈরি এক গণকবরের। সেখানে মোট ২০০টি মৃতদেহ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলে খবর। ইতিমধ্যেই ৫০ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি জেহাদিদের মৃতদেহও রয়েছে ওই গণকবরে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy