উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্রাগারের দখল নেওয়া খুব সহজ কাজ হবে না আমেরিকার পক্ষে। মনে করছেন পেন্টাগনের কর্তারাই। — প্রতিকী ছবি / ফাইল চিত্র।
কিম জং উনের পরমাণু অস্ত্রাগারকে যদি কব্জায় নিতে হয়, তা হলে উত্তর কোরিয়ায় ঢুকতেই হবে মার্কিন স্থলবাহিনীকে। এ ছাড়া আর কোনও পথ নেই। পেন্টাগনের তরফে চিঠি দিয়ে এ কথা জানানো হল মার্কিন কংগ্রেসের সদস্যদের। ওয়াশিংটন পোস্ট সূত্রে এই খবর পাওয়া গিয়েছে।
উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের আশঙ্কা এই মুহূর্তে কতটা? যুদ্ধ হলে কেমন ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে? মার্কিন কংগ্রেসের দুই সদস্য জানতে চেয়েছিলেন মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের কাছে। পেন্টাগন জয়েন্ট স্টাফ-এর ভাইস ডিরেক্টর চিঠি লিখে মার্কিন কংগ্রেসের সদস্যদের প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন। সেই চিঠিতেই জানানো হয়েছে, উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্রাগারগুলি চিহ্নিত করে সব পরমাণু অস্ত্র যদি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে চায় আমেরিকা, তা হলে উত্তর কোরীয় ভূখণ্ডে বাহিনী পাঠানো ছাড়া অন্য কোনও উপায় নেই। তবে তেমন কোনও পদক্ষেপে বড়সড় ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কাও থাকছে বলে পেন্টাগনের কর্তারা মনে করছেন। মার্কিন বাহিনী উত্তর কোরিয়ার ভূখণ্ডে পা রাখলেই কিম জং উন জীবাণু অস্ত্র এবং রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগ করতে পারেন বলে পেন্টাগনের আশঙ্কা। সে ক্ষেত্রে বিপুল সংখ্যক প্রাণহানি হতে পারে।
আরও পড়ুন: রিয়াধ লক্ষ্য করে জঙ্গিদের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করল সৌদি আরব
উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সম্ভাব্য যুদ্ধের বিষয়ে মার্কিন কংগ্রেসের সদস্যরা কী জানতে চেয়েছিলেন, প্রতিরক্ষা বিভাগের তরফে কী জানানো হয়েছে— ওয়াশিংটন পোস্টের রিপোর্টে বিশদে তুলে ধরা হয়েছে সে কথা। বিমানহানা বা ক্ষেপণাস্ত্র হানার কথা ভাবা গেলেও, উত্তর কোরিয়ার ভূখণ্ডে বাহিনী ঢোকানোর ভাবনা খুব একটা সুবিধাজনক পথ নয়— এমনই ইঙ্গিত রয়েছে পেন্টাগনের চিঠিতে।
আরও পড়ুন: ড্রাগ দিয়ে চাঙ্গা রাখা হয় আইএস জঙ্গিদের
উত্তর কোরিয়ার একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা এবং পরমাণু বিস্ফোরণের প্রেক্ষিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সুর পিয়ংইয়ং-এর বিরুদ্ধে অত্যন্ত চড়া। উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান যে হতেই পারে, সে ইঙ্গিত একাধিক বার দিয়েছেন ট্রাম্প। উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উন-ও মার্কিন ভূখণ্ডে আঘাত হানার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ততোধিক বার। কিন্তু পেন্টাগনের ইঙ্গিত, উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরও কঠোর করে এবং কূটনৈতিক চাপ ক্রমাগত বাড়িয়ে যে ভাবে পিয়ংইয়ং-কে বশে আনার চেষ্টা বর্তমানে চালানো হচ্ছে, সেই পথই সবচেয়ে ভাল বলে প্রতিরক্ষা সচিব রেক্স টিলারসনও মনে করছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy