Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

ফের চড়া সুর চিনফিংয়ের

প্রেসিডেন্টের পাশাপাশি আজ ভারতকে কটাক্ষ করেছে চিনা সরকারি সংবাদমাধ্যমও। চিনা সরকারি মুখপত্রে ভারত-চিন সম্পর্ক নিয়ে লেখা নিবন্ধে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ লং শিংচুয়ান বলেছেন, ভারতের বিপদের কারণ চিন নয়।

সংবাদ সংস্থা
বেজিং শেষ আপডেট: ০২ অগস্ট ২০১৭ ০৩:১৬
Share: Save:

ডোকলাম নিয়ে চিন-ভারত উত্তেজনা কিছুটা কমলেও দ্বিপাক্ষিক পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। এর মধ্যেই গত রবিবার চিনা সেনার প্রতিষ্ঠা দিবসে নাম না করে ভারতকে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং। এ দিন ফের একই সুরে ভারতকে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘কোনও বহিরাগত শক্তির হাতে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়ব না।’’ নয়াদিল্লি বিষয়টি নিয়ে সরকারি ভাবে কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

চিনা সেনার (পিপলস লিবারেশন আর্মি) ৯০ বছরে পা দেওয়া উপলক্ষে কয়েক দিন ধরেই অনুষ্ঠান চলছে। রবিবারই সেই অনুষ্ঠানে চিনফিং বলেছিলেন, যে কোনও অনুপ্রবেশকারীকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা চিনা সেনার রয়েছে। আজ প্রায় সেই সুরেই তিনি বলেন, ‘‘আমরা আগ্রাসনে বিশ্বাস করি না। কিন্তু সব অনুপ্রবেশকারীকে হারাতে পারি।’’ চিনা সেনা তাদের সাংগঠনিক কাঠামো ও ভাবমূর্তি বদলে ফেলেছে বলে দাবি করেন শি। কারও নাম না করলেও চিনা প্রেসিডেন্ট এ দিনও ভারতকেই বার্তা দিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

প্রেসিডেন্টের পাশাপাশি আজ ভারতকে কটাক্ষ করেছে চিনা সরকারি সংবাদমাধ্যমও। চিনা সরকারি মুখপত্রে ভারত-চিন সম্পর্ক নিয়ে লেখা নিবন্ধে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ লং শিংচুয়ান বলেছেন, ভারতের বিপদের কারণ চিন নয়। কিন্তু বিভিন্ন জাতিধর্মের দেশ ভারতে নানা অভ্যন্তরীণ সংঘাত লেগেই আছে। সে দিক থেকে নজর ঘোরাতেই ভারতের একটি বহিঃশত্রু খাড়া করার প্রয়োজন। আগে পাকিস্তানের দিকে আঙুল তোলা হতো। এখন ভারতের শক্তি বাড়ায় কেবল পাকিস্তানকে তোপ দেগে সুবিধে হচ্ছে না। চিনের দিকে আঙুল তোলা হচ্ছে।

লং শিংচুয়ানের দাবি, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াকে নিজেদের প্রভাবাধীন অঞ্চল বলে মনে করে ভারত। তাই পাকিস্তান ও চিনের মৈত্রী তাদের না পসন্দ। সিকিম সীমান্তের ডোকলামে মোতায়েন চিনা সেনা শিলিগুড়ি করিডরের খুব কাছে রয়েছে। এই করিডরের মাধ্যমেই ভারতের বাকি অংশের সঙ্গে উত্তর-পূর্বের যোগ রয়েছে। যদিও লঙের দাবি, চিনা সেনা শিলিগুড়ি করিডর দখল করে নিলেও দেশের উত্তর-পূর্ব অংশের সঙ্গে ভারতের মূল ভূখণ্ডের যোগাযোগ বন্ধ হবে না। দিল্লিতে বিদেশ মন্ত্রকের একটি সূত্র এই দাবিকে ‘হাস্যকর’ বলে উড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি জানিয়েছে, হঠাৎ শিলিগুড়ি দখলের প্রশ্ন চিন তুলছেই বা কেন? নিবন্ধে চিনের নৌশক্তি বৃদ্ধি নিয়ে ভারতের উদ্বেগকেও কটাক্ষ করেছেন লং। তাঁর দাবি, ভারত চিনকে বিপদ মনে করলেও শ্রীলঙ্কা, মলদ্বীপের মতো দেশ তা মনে করে না। লঙের হুঁশিয়ারি, ‘‘আঙুল তুললে বেজিং সত্যি বিপদ হয়ে দাঁড়াতে পারে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE