ফাইল চিত্র।
একটি টিয়া পাখি ধরিয়ে দিল খুনিকে। আমেরিকায় এক মহিলার বিরুদ্ধে তাঁর স্বামীকে খুনের অভিযোগ ওঠে গত ২০১৫ সালে। ওই হত্যাকাণ্ডের একমাত্র সাক্ষী ছিল ওই টিয়া। মার্টিনকে খুনের দায়ে আদালত গ্লেনাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে।
সে বছরই মার্টিন ডুরাম নামে এক ব্যক্তিকে হত্যা করার অভিযোগ দায়ের করা হয় তাঁর স্ত্রী গ্লেনা ডুরামের বিরুদ্ধে। ওই বছরের মে মাসে মিশিগানের স্যান্ড লেকে মার্টিনের বাড়ি থেকেই তাঁর দেহ মেলে। সেখানেই ছিল একটি আফ্রিকান গ্রে টিয়া। মার্টিনের পরিবার অভিযোগ জানায়, মার্টিনের মৃত্যুর পর থেকেই টিয়া পাখিটি চিৎকার করতে শুরু করে। ক্রমাগত দু’টি ভিন্ন গলা করে একটি কথোপকথন আউরে যাচ্ছিল। আর বার বার বলছিল—‘‘আমায় গুলি কোরো না’’।
আরও পড়ুন: সরবত বিক্রি করায় ৫ বছরের শিশুকে ১৫০ পাউন্ড জরিমানা!
স্থানীয় নিউয়াগো কাউন্টির এক আদালতে সরকার পক্ষের অ্যাটর্নি রবার্ট স্পিংস্টিড বলেছেন, তিনি পাখিদের ভাষা বোঝার জন্য পড়াশোনা করেছেন। পাখিটির কথা থেকেই তাঁর তদন্ত করতেও বেশ সুবিধা হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, তাঁর এক বার আফ্রিকান টিয়াপাখি সম্পর্কে পড়াশোনা করার সুযোগ হয়েছিল। সেই পড়াশোনা যে এ ভাবে কাজে এই কেসে বেশ কাজে এসে ত-ও জানিয়েছেন তিনি। রবার্টের মতে, বিচারের জন্য নির্ভরযোগ্য তথ্য পেতে সাহায্য করেছে ওই টিয়া পাখি।
পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনা সম্পর্কে গ্লেনা ডুরামকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি বলেন, “আমি এই ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানি না। কিন্তু, মার্টিনকে আমি খুন করিনি।” পুলিশি তদন্ত আরও জানা গিয়েছে, অর্থনৈতিক কারণে সমস্যায় পড়েছিলেন ডুরাম দম্পতি। তবে খুনের কারণ নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। এ ছাড়া, ওই পাখিটিই যে ঘটনার মূল সাক্ষী এমনটা বলতে নারাজ পুলিশ। তাঁদের মতে, তদন্তে খুবই ‘সাহায্য’ করেছে পাখিটি। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে গ্লেনাই যে দোষী তা অবশ্য মেনে নিয়েছেন আদালতের জুরিরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy