Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
International news

‘ক্যানসার আক্রান্ত প্রেমিকা’র ফাঁদে ফতুর প্রেমিক

প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে ক্যানসারের দোহাই দিয়ে প্রেমিকের পকেট সাফ করে দিল ৩১ বছরের প্রতারক যুবতী। প্রেমিক যতক্ষণে বুঝলেন তাঁকে ঠকানো হয়েছে নির্মম ভাবে, সঞ্চয়ের আর বিন্দুমাত্র অবশিষ্ট নেই তখন। উল্টে ধারের বোঝা চেপে গেছে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ১৮:২৫
Share: Save:

প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে ক্যানসারের দোহাই দিয়ে প্রেমিকের পকেট সাফ করে দিল ৩১ বছরের প্রতারক যুবতী। প্রেমিক যতক্ষণে বুঝলেন তাঁকে ঠকানো হয়েছে নির্মম ভাবে, সঞ্চয়ের আর বিন্দুমাত্র অবশিষ্ট নেই তখন। উল্টে ধারের বোঝা চেপে গেছে। ‘প্রেমিকা’র মিথ্যা ক্যানসারের চিকিৎসা করাতে গিয়ে সব হারিয়ে প্রায় নিঃস্ব পেনসিলভেনিয়ার সেই যুবক। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে মিশেল জিপ নামের ওই যুবতীকে।

পুলিশ সূত্রে খবর, গত অক্টোবর মাসেই মিশেল জিপের সঙ্গে পরিচয় হয় পেনসিলভেনিয়ার ওই যুবকের। মিচেল তাঁর কোনও এক বন্ধুর পরিচিত। তার পর থেকেই তাঁরা ঘনিষ্ঠ হতে শুরু করেন। মিশেলের মিষ্টি কথায় তাঁর প্রেমে পড়ে যান যুবক। খুব বেশি দেখা সাক্ষাত্ হত না। কিন্তু ফোন, ফেসবুকে তাঁদের কথাবার্তা লেগেই থাকত। আস্তে আস্তে যুবক জানতে পারেন, মিশেল ক্যানসার আক্রান্ত। ক্যানসারের শেষ ধাপে রয়েছেন। আবেগপ্রবণ যুবকটি ঠিক করে ফেলেন, তিনি মিশেলকেই বিয়ে করবেন। ওর পাশে দাঁড়াবেন। চিকিৎসার জন্য দরকার প্রচুর টাকা। জানিয়েছিল মিশেল। মিশেলের সব কথাই চোখ বুজে বিশ্বাস করতে শুরু করেন তিনি। এমনকী, মিশেলও খুব পরিকল্পনামাফিক এগোতে থাকে। পাছে ধরা পড়তে হয়, তাই খুব বেশি দেখা করত না প্রেমিকের সঙ্গে। ফোন বা মেসেজ পাঠিয়ে চিকিৎসার আপডেট দিত। কোন হাসপাতালে চিকিৎসা করাচ্ছে, নার্স তাঁর রিপোর্ট দেখে কী বলেছে, সবটাই মেসেজ করে তাঁকে জানাত।

আরও পড়ুন: বিপদের ঝুঁকি নিয়ে ছবি তোলায় ভিকিকে ডাকল পুলিশ

সপ্তাহখানেক আগে মেসেজেই মিশেল জানায়, খুব তাড়াতাড়ি তার অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন। তা না হলে তাকে আর বাঁচানো যাবে না বলে চিকিৎসকেরা জানিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু টাকার অভাবে হাসপাতালে ভর্তি হতে পারছে না। প্রেমিকাকে বাঁচাতে মরিয়া হতে ওঠেন যুবক। ব্যাঙ্ক থেকে ৪০ হাজার ডলার ধার নেন। তার অনেকটা সে দিনই পাঠিয়ে দেন প্রেমিকার অ্যাকাউন্টে। চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করে অস্ত্রোপচার সম্বন্ধে কথা বলতে চান তিনি। কিন্তু তার পর থেকেই যুবক লক্ষ্য করেন, বারবারই চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করার প্রসঙ্গ এড়িয়ে যাচ্ছে মিশেল। এমনকী তাঁর ফোন বা মেসেজেরও ঠিকমতো উত্তর দিচ্ছিল না। যে হাসপাতালে নিজের চিকিৎসা করাচ্ছে বলে মিশেল জানিয়েছিল সেখানে গিয়েও জানা যায় ওই নামে কোনও রোগীই নেই। সন্দেহ হওয়ায় পুলিশের কাছে যান তিনি। তার পরই মিশেলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পেনসিলভেনিয়ার এক পুলিশ আধিকারীকের কথায়, একেবারে দুই বিপরীত সত্ত্বার মানুষ দু’জন। একজন অন্যের বিপদে নিজের সর্বস্ব নিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছিল। অন্যজন এই মহত্ গুণটাকেই কাজে লাগিয়ে তাকে ঠকিয়ে গেছে।

মিশেল আর কারও সঙ্গে এরকম ঘটনা ঘটিয়েছে কি না, তাও তদন্ত করছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

America Cancer Fraud
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE