এই সেই সিমোন।
সময়টা ভাল যাচ্ছে না ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের। এ বছরের শুরু থেকেই একের পর এক ঘটনায় খবরের শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছে এই সংস্থা। কখনও আসন বিভ্রাটে হবু দম্পতিকে বিমান থেকে নামিয়ে দেওয়া, কখনও জায়গা নেই বলে যাত্রীকেই গলাধাক্কা দেওয়া, কখনও আবার লেগিংস পরে থাকার জন্য দুই মহিলাকে বিমানে উঠতে বাধা দেওয়া— এমনই নানান অভিযোগ উঠেছে এই আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থার বিরুদ্ধে। এ বার এই সংস্থার বিমানেই মারা গেল পৃথিবীর সবচেয়ে বড় খরগোশ।
সিমোন। কালো লোমে ঢাকা। দেখতে প্রায় একটা কুকুরের মাপের। তিন ফুট লম্বা, ২৩ কেজি ওজন। ছোট্ট তুলতুলে নরম খরগোশের সঙ্গে কোনও অংশে মিল নেই সিমোনের। যদিও নাম গোত্রে সেও খরগোশ।
সিমোনের মতোই অন্য একটি বড় খরগোশের সঙ্গে ব্রিডার অ্যানিটি এডওয়ার্ডস। ছবি: টুইটারের সৌজন্যে
সিমোনের ব্রিডার অ্যানিটি এডওয়ার্ডস জানালেন, সম্প্রতি ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৬৭ বিমানে চড়ে হথওয়ার্থ থেকে শিকাগোয় নিজের নতুন মালিকের কাছে যাচ্ছিল সিমোন। যখন সিমোনকে কার্গোতে দেওয়া হচ্ছিল তখনও সে সম্পূর্ণ সুস্থ ছিল। তিন ঘণ্টা ধরে ওর শারীরিক পরীক্ষা হয়েছিল। তখন কোনও সমস্যা ছিল না। কিন্তু শিকাগোর ও’হেয়ার বিমানবন্দরে নামার পর দেখা যায় মারা গিয়েছে সিমোন।
• সিমোন ‘ফ্লেমিস জায়েন্ট’ গোত্রের র্যাবিট
• বেলজিয়ামের ফ্লান্ডার্স- এ এদের আদি বাসস্থান।
• ষোড়শ শতক নাগাদ পৃথিবীতে প্রথম পাওয়া গিয়েছিল এদের।
• মাংস ও লোমের জন্য এদের প্রতিপালন করা হত।
• এখনও পোষ্য হিসাবে এদের কদর মারাত্মক।
• মোটামুটি সাড়ে ছয় হাজার মার্কিন ডলারের কাছাকাছি দাম এই খরগোশের।
আরও পড়ুন: বান্দ্রার রাস্তায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের হুবহু নকল ছবি তুলে ফেললেন ইনি
এর আগেও প্রচুর খরগোশ বিশ্বের নানান দেশে পাঠিয়েছেন এডওয়ার্ডস। কিন্তু এমন অভিজ্ঞতা কখনও হয়নি বলে জানালেন তিনি।
অ্যানিটির দাবি, সিমোনই বিশ্বের সবচেয়ে বড় খরগোশ। ১০ মাসের সিমোন লম্বায় ছিল ৩ ফুট। অ্যানিটির দাবি, এটি আয়তনে আরও বাড়ত।
ইউনাইটেড বিমান কর্তৃপক্ষের তরফে জানান হয়েছে, ‘‘আমাদের পেট সেফ টিম পশুদের খেয়াল রাখে। এমনকী আমরা গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে পোষ্যের জন্য আলাদা অ্যাসিস্টেন্টেরও ব্যবস্থা করি। সিমোনের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy