ফাইল চিত্র।
তোলপাড় ফেলে দেওয়া তথ্য ফাঁস কাণ্ড নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন ফেসবুক কর্ণধার মার্ক জুকেরবার্গ। বৃহস্পতিবার ফেসবুকে একটি লেখা পোস্ট করে তিনি বড়সড় এই ভুলের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘তথ্য ফাঁস ঠেকাতে আমরা বহু আগেই ব্যবস্থা নিয়েছিলাম। তবুও ভুল হয়েছেই। ভুল শুধরে নেওয়ার জন্য আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’’
যদিও জুকেরবার্গের চিঠিতেও যে তরজা থামছে, তা নয়। অভিযোগ কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা নামের সংস্থা ফেসবুকের ডেটাবেস থেকে পাঁচ কোটি ইউজারের তথ্য হাতিয়ে মার্কিন নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জেতাতে সাহায্য করেছিল।
একের পর এক অভিযোগের ঢেউ ভারতীয় রাজনীতিতেও আছড়ে পড়েছে এর পর। বিজেপি এবং কংগ্রেস একে অন্যের বিরুদ্ধে অ্যানালিটিকার কাছ থেকে নির্বাচনে সাহায্য নেওয়ার অভিযোগ তুলেছে। এ অবস্থায় দাঁড়িয়ে ভুলের কথা স্বীকার করলেও, কেন ভুল হয়েছে, তা কিন্তু খোলসা করেননি জুকেরবার্গ। তবে জুকেরবার্গের দাবি, ‘‘ভারত-সহ কোনও দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করার কোনও অভিপ্রায় ফেসবুকের নেই।’’
জুকেরবার্গের সেই পোস্ট
ফেসবুক ব্যবহারকারীদের উদ্দেশ্যে খানিকটা আবেগের সুরেই তিনি লিখেছেন, “আপনাদের সমস্ত তথ্য সুরক্ষিত রাখা আমাদের কর্তব্য। যে দিন থেকে আমরা ব্যর্থ হব, সেই দিন থেকে আমরা সরে আসব।’’ ফেসবুকে তথ্যভান্ডার সুরক্ষিত রাখার স্বার্থে একগুচ্ছ পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ঘরশত্রুই ঘা দিল জুকেরবার্গকে
গতকালই কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তিমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, ভারতের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করলে তা বরদাস্ত করা হবে না। দরকারে জুকেরবার্গের কাছে সমন পাঠানো হবে বলেও তিনি জানিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু আশঙ্কাটা অন্য জায়গায়। বিশ্বের বৃহত্তম সোশাল মিডিয়া বলে পরিচিত ফেসবুকেই যদি তথ্য সুরক্ষিত না থাকে, তবে তো ঘোরতর বিপদ! ভারতে ফেসবুকের ‘অ্যাক্টিভ ইউজারের’ সংখ্যা প্রায় ২৫ কোটি। তবে কি এত সংখ্যক মানুষের ব্যক্তিগত তথ্যও কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার মতো সংস্থার হাতে চলে যেতে পারে? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যেমনটা হয়েছে, ঠিক সেই পদ্ধতিতে যে ভারতের নির্বাচনকেও প্রভাবিত করার জন্য ফেসবুকের ডেটাবেস ব্যবহার করা হয়নি , তার গ্যারান্টিই বা কোথায়? এর সুস্পষ্ট উত্তর পাওয়া যায়নি জুকেরবার্গের কথা থেকে। তবে তিনি জানিয়েছেন,‘‘যে সব অ্যাপ ফেসবুকের সঙ্গে যুক্ত, তাদের কাজকর্ম খতিয়ে দেখা হবে। দরকার পড়লে তাদের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করবে ফেসবুক ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy