একটা আশঙ্কা ছিলই। প্রথম ইনিংসে যে ভুলগুলো ভারত করেছে, সেগুলো না আবার দ্বিতীয় ইনিংসে ওদের তাড়া করে। চতুর্থ দিনের শেষে স্কোর ১১২-৪। আশঙ্কাটা বোধহয় সত্যিই হল।
ইংল্যান্ড এই টেস্টে যেমন এখনও কিছু ভুল করেনি, ভারতও কিছু ঠিক করেনি। এই টেস্টে সব সেশনই এখনও পর্যন্ত ইংল্যান্ডের পক্ষে গিয়েছে। নিজেদের খোঁড়া গভীর গর্ত থেকে বেরিয়ে আসাটা ভারতের পক্ষে কিন্তু সোজা নয়।
তুলনায় ইংল্যান্ড অনবদ্য খেলেছে। ব্যাটিংয়ের জন্য অ্যালিস্টার কুকদের প্রশংসা তো আছেই। পাশাপাশি জিমি আ্যান্ডারসনের দুর্ধর্ষ পারফরম্যান্সের কথাও আলাদা করে বলতে হয়। সত্যিই সম্মোহিত করে দেওয়ার মতো বোলিং করল। সিম, সুইং, কাটার, ইনডিপার, শর্ট নিজের সুসজ্জিত অস্ত্রভাণ্ডার যেন উন্মুক্ত করে দিয়েছিল জিমি।
জিমির বোলিং দেখে মনে হচ্ছিল যেন নিপুণ এক শল্য চিকিৎসক। ধবন ওর বল না খেলে ছেড়ে দেওয়া শুরু করতেই রাউন্ড দ্য উইকেটে এসে ওকে ব্যাটে ঠেকাতে বাধ্য করল। খোঁচা দ্বিতীয় স্লিপে ক্যাচ। বিরাট এমন একটা বল ‘নিক’ করল যেটা ভিতরে ঢুকে বাইরে মুভ করল। জাডেজা ক্রিজ ছেড়ে বেশ কয়েক বার এগিয়ে আসার পর হয়তো বলটা অতটা ফুল হবে আশা করেনি। একই ভাবে ধোনি বুদ্ধি করে করা বাউন্সারটা সামলাতে পারল না। এই ধরনের অসাধারণ বোলিং সব সময় ব্যাটসম্যানদের মনের মধ্যে একটা সংশয় সৃষ্টি করে। শুধু কোহলি বা ধবন নয়, বিজয়-পূজারার মনেও অ্যান্ডারসন আতঙ্ক ঢুকে যেতে পারে।
তবে উল্টো দিকে অ্যান্ডারসন থাকলেও একটা আশার আলো দেখা যাচ্ছে ভারতের জন্য। সেটা হল ইংল্যান্ডের ব্যাক আপ সিম বোলারদের অতটা বিপজ্জনক দেখাচ্ছে না। অ্যান্ডারসন আর ব্রডকে সামলে দিতে পারলে আর পরে মইন আলির স্পিনকে কিছুটা সম্মান দিলে ভারত এই টেস্টটা ড্র করে দিতে পারে। তার জন্য অবশ্য ভারতের প্রথম চার ব্যাটসম্যানের মধ্যে কাউকে দীর্ঘক্ষণ ব্যাট করে যেতে হবে। পূজারা বা কোহলি নিজেদের জাত চেনানোর জন্য এর চেয়ে ভাল মঞ্চ আর কি পাবে? তবে পরিস্থিতি যা তাতে ভারতের আকাশ কিন্তু অন্ধকার করে রেখেছে কালো মেঘ নয়, অ্যান্ডারসন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy