মঙ্গলবার বার্লিনে। ছবি: রয়টার্স
বিশ্বচ্যাম্পিয়ন বোধহয় একেই বলে!
বিশ্বকাপ ছোঁয়ার মুর্হূতটা দু’দিন পুরনোও হয়নি। তার মধ্যেই বাস্তিয়ান সোয়াইনস্টাইগার হুঙ্কার দিয়ে রাখলেন, একটা বিশ্বকাপ ট্রফিতে থেমে থাকার একেবারেই ইচ্ছে নেই তাঁদের। “ভবিষ্যতে কী হবে কেউ জানে না। কিন্তু আমরা ফিট, আমরা ক্ষুধার্ত আর আমাদের টিমের বেশির ভাগ প্লেয়ারের বয়স ২৫ বা তার আশেপাশে। পরের টুর্নামেন্টে আবার জিততে চাই,” কাপ জয়ের বিয়ারস্নাত রাতেই বলে দিয়েছিলেন আহত জার্মান বাঘ। তাঁদের পরবর্তী লক্ষ্য, ফ্রান্সে অনুষ্ঠেয় ইউরো ২০১৬। যা নিয়ে বাস্তিয়ান বলছেন, “ফ্রান্সেও জয়ের টার্গেট নিয়েই যাব। টিমে দারুণ সব প্লেয়ার আছে। তবে তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ, আমাদের খেলায় একটা ঐতিহ্য আছে। আমরা দৌড়তে পারি, চাপ তৈরি করতে পারি, ডিফেন্ড করতে পারি। এই মিশেলটাই টিমের সাফল্যের কারণ।”
না, জার্মান ঔদ্ধত্য নয়। একটা সহজ সত্যিকে খুব সহজ ভাবে প্রকাশ করা। যে সত্যিটা হল, তাঁর দেশের ফুটবল সাপ্লাই লাইনের অসাধারণ সাফল্য। যে সাপ্লাই লাইন জন্ম দিয়েছে এমন এক ঝাঁক ফুটবলারের যারা এক সঙ্গে বড় হয়েছে, গোটা বিশ্বে জার্মান আধিপত্য ছড়িয়ে দেওয়ার খিদেটা যাদের ডিএনএ-র মধ্যে ঢুকে গিয়েছে। যাঁদের জাতীয় জার্সিতে এখন থেকে থাকবে চারটে তারা। মাট্স হুমেলস যেমন। দেশকে চতুর্থ বিশ্বকাপ এনে দেওয়ার অন্যতম নায়ক বলছেন, “আমাদের টিমে ছ’সাত জনের ১৯৮৮-তে জন্ম। বয়স বেশি না। তাই আগামী দিনে সাফল্য ধরে রাখার সুযোগ আমাদের সামনে অনেক বেশি।”
ব্রাজিল বিশ্বকাপই হয়তো যাঁর কাছে বিশ্বজয়ের শেষ সুযোগ ছিল, সেই মিরোস্লাভ ক্লোজে অবশ্য এখনও আন্তর্জাতিক কেরিয়ার নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি। বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোলের মালিক বরং বলেছেন, “জানি না জাতীয় দলে আর খেলব কি না। দু’তিন দিন ভাবতে হবে। তার পর দেখি।” মারাকানার ফাইনালের শেষ দিকে তাঁর পরিবর্ত হিসেবে নামা মারিও গোটজের দুর্দান্ত গোলটা নিয়ে কী বলছেন ক্লোজে? “জানতাম ও পারবে। ও যখন মাঠে নামছিল, তখন ওকে বলেছিলাম, তুমি ঠিক পারবে।”
জাতীয় কোচ নিয়ে অবশ্য কোনও ভাবাভাবির রাস্তায় যাচ্ছে না জার্মানি। ডিএফবি প্রেসিডেন্ট উল্ফগ্যাং নিয়ের্সবাখ জানিয়ে দিয়েছেন, কোচ হিসেবে থাকছেন জোয়াকিম লো-ই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy