Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

একশো মিটারে হেরে ক্রিকেটে জয়ী বোল্ট

এলেন, দেখলেন, জয় করলেন! উসেইন বোল্টের প্রথম ভারত সফরকে সংক্ষেপে বর্ণনা করতে হলে এই তিনটে শব্দ বোধহয় যথেষ্ট। ট্র্যাকে তিনিই সর্বশ্রেষ্ঠ, সপাট ঘোষণা করে দিলেন। তাঁর রেকর্ডের ধারেকাছে কেউ কোনও দিন পৌঁছতে পারবে না, সাফ জানিয়ে দিলেন। তার পাশাপাশি বিশ্বের দ্রুততম মানুষ এটাও দেখিয়ে দিলেন, ট্র্যাকের রাজা হলে কী হবে, ক্রিকেটের বাইশ গজেও তিনি সমান সাবলীল।

বোল্টও হারেন! যুবরাজের সঙ্গে ‘মজার’ টক্কর। ছবি: পিটিআই

বোল্টও হারেন! যুবরাজের সঙ্গে ‘মজার’ টক্কর। ছবি: পিটিআই

সংবাদ সংস্থা
বেঙ্গালুরু শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০৩:০৭
Share: Save:

এলেন, দেখলেন, জয় করলেন!

উসেইন বোল্টের প্রথম ভারত সফরকে সংক্ষেপে বর্ণনা করতে হলে এই তিনটে শব্দ বোধহয় যথেষ্ট।

ট্র্যাকে তিনিই সর্বশ্রেষ্ঠ, সপাট ঘোষণা করে দিলেন। তাঁর রেকর্ডের ধারেকাছে কেউ কোনও দিন পৌঁছতে পারবে না, সাফ জানিয়ে দিলেন। তার পাশাপাশি বিশ্বের দ্রুততম মানুষ এটাও দেখিয়ে দিলেন, ট্র্যাকের রাজা হলে কী হবে, ক্রিকেটের বাইশ গজেও তিনি সমান সাবলীল। যুবরাজ সিংহের টিমের বিরুদ্ধে প্রথমে ডান হাতি পেস বোলিং। তার পর ব্যাটেও ছক্কা। যে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম আইপিএলে ক্রিস গেইলের ব্যাটিং ঝড় দেখেছে, সেই মাঠ এ দিন সাক্ষী থাকল জামাইকান অ্যাথলিটের ঝোড়ো ব্যাটিংয়েরও। ১৯ বলে গেইলোচিত ৪৫ রানে ছিল পাঁচ-পাঁচটা ওভার বাউন্ডারি। তার মধ্যে তিনটে আবার যুবরাজকেই মারা!

শেষ পর্যন্ত চার ওভারের প্রদর্শনী ম্যাচটা জিতল টিম বোল্টই। ৫৯ তাড়া করতে নেমে, একেবারে শেষ বলে। জয়ের রানটা এল সেই বোল্টের ব্যাট থেকেই। যাঁর টিমে ছিলেন যুবরাজের এক সময়কার সতীর্থ হরভজন সিংহ। ক্রিকেটে হারের বদলা অবশ্য ট্র্যাকে নিয়ে নিলেন যুবরাজ। ট্র্যাকের সম্রাটকে তাঁরই সাম্রাজ্যে হারিয়ে। একশো মিটার রেসে বোল্টকে পিছনে ফেলে দিলেন যুবরাজ।

ট্র্যাকে জিতলে দু’হাত তুলে যে ভঙ্গিতে সেলিব্রেট করে থাকেন, ক্রিকেট ম্যাচ জিতে সেটা অবশ্য একটু পাল্টালেন। ব্যাট-প্যাড নিয়েই মাঠে সমারসল্ট করে ফেললেন বোল্ট! তার আগে তাঁর ট্র্যাকের সেলিব্রেশন-ভঙ্গি নকল করে দেখিয়েছেন যুবি-ভাজ্জি। ট্র্যাক না ক্রিকেট মাঠ, দেখে বোঝার উপায় নেই। তারও আগে সাংবাদিক সম্মেলনে ঝড় তুলে গিয়েছেন বোল্ট। ৯.৫৮ সেকেন্ডের ১০০ মিটার রেকর্ড কোনও দিন ভাঙবে কি না, প্রশ্ন করা হতে না হতেই বিদ্যুৎগতিতে বোল্টের জবাব, “অ্যাথলিট হিসেবে অনেক রেকর্ড ভাঙতে দেখেছি। কিন্তু আমার মতো গ্রেট হতে হলে প্রচুর খাটতে হবে। তাই আমার রেকর্ড কোনও দিন ভাঙবে না!” সমসাময়িকদের মধ্যে কেউ আছে যে আপনাকে হারাতে পারে? প্রচণ্ড হেসে কোনও মতে নিজেকে সামলে বোল্টের ছোট্ট উত্তর, “কেউ না!”

তাঁর বাবা ক্রিকেট-ভক্ত ছিলেন, কিন্তু জাতীয় ক্রিকেট টিমে ঢোকার চেয়ে অ্যাথলিট হিসেবে সফল হওয়া বেশি সহজ বলে শেষ পর্যন্ত ট্র্যাকই বেছে নেন বোল্ট। ক্রিকেটারদের মধ্যে কে দ্রুততম? বোল্ট মনে করেন, এবি ডে’ভিলিয়ার্স। ১০০ মিটার দৌড়তে যুবি-ভাজ্জিকে কী টার্গেট দেবেন? চওড়া হাসি-সহ বোল্টের উত্তর, “১৪.৫ সেকেন্ড দেব। মজা হবে!”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE