অস্ট্রেলিয়ায় প্রথমবার নেটে ব্যাট নিয়ে ঢুকতেই যে ভাবে অভ্যর্থনা পেলেন বিরাট কোহলি, তাতে স্পষ্ট ইঙ্গিত, সারা সফরেই তাঁকে ও তাঁর দলের ব্যাটসম্যানদের এ ভাবেই ‘ওয়েলকাম’ করবেন বিপক্ষের বোলাররা।
গ্লেনেলগ ওভালে এক স্থানীয় নেট বোলারের বাউন্সার সোজা ভারত অধিনায়কের বুকে এসে লাগে। সেই ধাক্কা অবশ্য কোহলির আত্মবিশ্বাস টলাতে পারেনি। বরং সাংবাদিক সম্মেলনে মিচেল জনসনকে নিয়ে প্রশ্ন হলে হুঙ্কার দিয়ে যান, “জনসনকে সামলানোর অস্ত্র মজুত আছে আমাদের। অস্ট্রেলিয়ার বাউন্সি উইকেটেও জনসনকে সামলাতে না পারার কারণ দেখছি না।”
জনসন যাতে শুরু থেকেই পুরো ফর্মে ভারতের বিরুদ্ধে গোলাবর্ষণ শুরু করে দিতে পারেন, তাই পারথে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সদ্যসমাপ্ত ওয়ান ডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচের পরই তাঁকে বিশ্রামে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন অজি নির্বাচকরা। কোচ লেম্যান কোনও রাখঢাক না করেই বলে দিয়েছেন, “ভারতের বিরুদ্ধে সিরিজে আমরা তাজা জনসনকে চাই। সে জন্যই ওকে বাকি তিন ম্যাচে বিশ্রাম দেওয়া হল।” টেস্ট সিরিজের দল ঘোষণার আগেই যে জনসনের সঙ্গী হিসেবে পিটার সিডল ও তরুণ পেসার জশ হ্যাজলউডের নাম নিশ্চিত করে দেওয়া হয়েছে, তাও ভারতকে চাপে ফেলার জন্যই, ধারণা বিশেষজ্ঞদের। কোহলি এ দিন বলেছেন, “জানি জনসন দারুণ বল করছে। ওকে সামলাতে গেলে মানসিক ভাবে আমাদের তৈরি থাকতে হবে। এখানে পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেয়েও বড় ব্যাপার হল নিজেদের মানসিকতা সেই জায়গায় নিয়ে গিয়ে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে মাঠে দাঁড়ানো। আমার মনে হয়, দলের ছেলেদের সেই ক্ষমতা রয়েছে।” পিটার সিডল আবার হুঙ্কার দিয়েছেন, অস্ট্রেলীয় পেসাররা যখন বল করতে আসবে, তখন গ্যালারি থেকে যে গর্জন উঠবে, তাতে চাপে পড়ে যেতে পারেন কোহলি। যার পাল্টা দিয়েছেন ভারত অধিনায়ক, “আমার সমস্যা। আমাকেই বুঝে নিতে দিন না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy