জাতীয় স্নুকার চ্যাম্পিয়ন পঙ্কজ আডবাণীর হাতে ট্রফি তুলে দিলেন অভিনেত্রী রাইমা সেন।
সকালে রবীন্দ্র সরোবরের মনোরম দৃশ্য মনে থাকবে তাঁর। মনে থাকবে, লেকের পাশে বেঙ্গল রোয়িং ক্লাবে চা আর টোস্টে কামড় বসানোর রাজকীয় আমেজটাও। গত দু’সপ্তাহে যেখানে জাতীয় বিলিয়ার্ডস আর স্নুকারের আসর বসেছিল। ‘মিস’ করবেন তিনি এ সব।
দু’সপ্তাহের কলকাতাবাস শেষ হল যে পঙ্কজ আডবাণীর। তবে খালি হাতে নয়, জাতীয় চ্যাম্পিয়নের দুটো ট্রফি নিয়েই বেঙ্গালুরু উড়ে যাচ্ছেন বারো বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন।
গত সপ্তাহে বিলিয়ার্ডসের খেতাবের পর শনিবার জাতীয় স্নুকার চ্যাম্পিয়নের ট্রফিটাও দখল করে ফেললেন পঙ্কজ। সেমিফাইনালে যে ভাবে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছিল, আশা ছিল ফাইনালেও তাঁর ‘রিপ্লে’ দেখা যাবে। কিন্তু চব্বিশ বছরের বরুণ মদনকে ফাইনালে সে রকম কোনও সুযোগই দিলেন না পঙ্কজ। ৬-৩ খেতাব জিতে ছ’বছর পর ট্রফি ক্যাবিনেটে চতুর্থ বার একই সঙ্গে জোড়া ট্রফির ঢুকে পড়াটা নিশ্চিত করে ফেলেন তিনি।
তবে বরাবরের বিনয়ী, মৃদুভাষী ‘সহজে’ জিতেছেন সেটা স্বীকার করলেন না। “যত দিন যাচ্ছে ডাবল জেতাটা কঠিন হয়ে উঠছে। এক একটা ফর্ম্যাটে বিশেষজ্ঞ প্লেয়াররা উঠে আসছে। তার মধ্যেও আমি যে অপরাজিত থেকেই টুর্নামেন্ট শেষ করতে পেরেছি তাতেই খুশি।”
সাত নম্বর জাতীয় স্নুকার খেতাবের পাশাপাশি পঙ্কজের দখলে সাতটা জাতীয় বিলিয়ার্ডস খেতাবও আছে। সব মিলিয়ে এই নিয়ে তাঁর জাতীয় পর্যায়ে খেতাবের সংখ্যা দাঁড়াল ২৬। তবে টানা দুটো ফর্ম্যাটে খেলার ধকল সামলানোর চ্যালেঞ্জ সোজা ছিল না। দিনে দু’টো করে ম্যাচ খেলার ক্লান্তি ফাইনালে অবশ্য ছিল না। শনিবারের দাপটের পিছনে যেটা অন্যতম কারণ। পঙ্কজ বলে দেন, “আজ অনেক ভাল পারফর্ম করতে পেরেছি। আজ একটা ম্যাচ ছিল বলে অনেক তরতাজা ছিলাম। ধকল কাটানোর সময় পেয়েছি।” পরের লক্ষ্য কী? কলকাতা অভিযানে সাফল্যের পর আপাতত দেশের বিলিয়ার্ডস-স্নুকারের পোস্টার বয়ের মাথায় একটা বিষয়ই ঘুরছে, “এ বার কিছু দিন শুধু বিশ্রাম।”
ছবি: শঙ্কর নাগ দাস
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy