Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪
লক্ষ্মণের টিপস

নতুনত্ব না খুঁজে নিজের শক্তি বোঝো

ম্যাচে নেমে নয়, ম্যাচ সিচুয়েশন নিয়ে ভেবে ফেলতে হবে ম্যাচের আগে। ৫০-৩ হলে কী করব বা ৪০ ওভারে ১৫০-৩ থাকলে কী করা দরকার, প্রস্তুতি নিতে হবে আগে। টিম বিপন্ন হলে শট ছেঁটে চলে যেতে হবে সিঙ্গলসে। কয়েক ওভার রান না এলেও উইকেট দিয়ে আসা চলবে না। যে শট মারতে সমস্যা হচ্ছে, সেই শট মারার দরকার নেই। নিজের শক্তি বুঝে খাটতে হবে ওটা নিয়েই, নতুনত্ব আমদানির কথা না ভেবে।

শিক্ষক লক্ষ্মণ। তাঁর প্রিয় ইডেনে শনিবার। ছবি: শঙ্কর নাগ দাস

শিক্ষক লক্ষ্মণ। তাঁর প্রিয় ইডেনে শনিবার। ছবি: শঙ্কর নাগ দাস

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০১৪ ০২:১০
Share: Save:

ম্যাচে নেমে নয়, ম্যাচ সিচুয়েশন নিয়ে ভেবে ফেলতে হবে ম্যাচের আগে। ৫০-৩ হলে কী করব বা ৪০ ওভারে ১৫০-৩ থাকলে কী করা দরকার, প্রস্তুতি নিতে হবে আগে। টিম বিপন্ন হলে শট ছেঁটে চলে যেতে হবে সিঙ্গলসে। কয়েক ওভার রান না এলেও উইকেট দিয়ে আসা চলবে না।

যে শট মারতে সমস্যা হচ্ছে, সেই শট মারার দরকার নেই। নিজের শক্তি বুঝে খাটতে হবে ওটা নিয়েই, নতুনত্ব আমদানির কথা না ভেবে।

দীর্ঘ ব্যাটিংয়ের পর নিজেকে ক্লান্ত মনে হলে, শট খেলা বন্ধ করে স্রেফ উইকেটে পড়ে থাকতে হবে। বুঝতে হবে, বোলারও ক্লান্ত হবে। অপেক্ষা করতে হবে ওই সময়ের জন্য।

ছাত্রদের নাম কখনও দিব্যেন্দু চক্রবর্তী, কখনও শ্রীবত্‌স গোস্বামী, কখনও বা ১৫ বছরের প্রতিভাবান সুদীপ ঘরামি। শনিবার সাড়ে ছ’ঘণ্টার ক্লাসে উপরোক্ত ‘গুরুমন্ত্র’ শুনে যাঁরা খোঁজখবর শুরু করলেন, রঞ্জি ট্রফির আগে ভিভিএস লক্ষ্মণকে আবার পাওয়া যাবে কি না? বছরে কত দিন থাকবেন লক্ষ্মণ?

কারণ ব্যাটিংয়ের মতো লক্ষ্মণের টিপসও নাকি ভেরি ভেরি স্পেশ্যাল।

সন্ধেয় সিএবি ছেড়ে বেরনোর আগে লক্ষ্মণ বলছিলেন, “বাংলায় প্রতিভার অভাব দেখছি না। যাদের দেখলাম, সবাইকে ভালই মনে হল।” ভিশন ২০২০-র ব্যাটিং পরামর্শদাতার কোচিং-দর্শন ইতিমধ্যেই মুগ্ধ করছে সহকারী কোচ থেকে ক্রিকেটারদের। যিনি কখনও টেনে আনছেন সচিন তেন্ডুলকরকে, কখনও রাহুল দ্রাবিড়। ছাত্রদের বলছেন, দ্যাখো কারও মতো হতে চেয়ে লাভ নেই। দ্রাবিড়ের মতো ব্যাট করলে আমি কি কিছু করতে পারতাম? ভিশনের সহকারী কোচরা আবার মুগ্ধ ভিভিএসের সিরিয়াস মনোভাবে।

সমস্ত ক্রিকেটারের গত বছরের স্ট্যাটিস্টিক্স চেয়ে পাঠিয়েছেন। মন দিয়ে নেটের সামনে বসে থাকছেন। ভিডিও রেকর্ডিং চলছে। কোনও ডেলিভারির সামনে ব্যাটসম্যানকে সমস্যায় পড়তে দেখলে বলে দিচ্ছেন, বলটা মার্ক করে রাখতে। ছাত্রদের হাতে কাগজ ধরিয়ে দিচ্ছেন। যেখানে ছাত্রদের লিখতে হবে কোনটা তাদের শক্তি আর কোথায় উন্নতি দরকার। শোনা গেল, ১৫ বছরের সুদীপকে পছন্দ হয়েছে লক্ষ্মণের। ক্রিকেটারদের এ দিন ভিভিএস বলে দিয়েছেন রবিবার লিখে আনতে যে, তারা কী প্রত্যাশা করেছিল তাঁর ক্লাস থেকে। কী পেল, কী পেল না। শ্রীবত্‌সকে বোঝালেন, শট খেলার সময় মাথার পজিশন কী হওয়া উচিত।

কী দাঁড়াল? গুরু যা করার করছেন, সিরিয়াস ভাবেই করছেন। বাকিটা এখন ছাত্রদের উপর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE