Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
ফ্লেচারের পর কাঠগড়ায় কোভারম্যান্সও

পঞ্চান্ন বছর পর লজ্জার হারে কোচ হঠাও দাবি

দেশের মাঠে পাকিস্তানের কাছেও হারতে হল ভারতীয় ফুটবল দলকে। বুধবার বেঙ্গালুরুতে দুই ম্যাচের সিরিজের দ্বিতীয়টিতে ভারত ০-২ হারার পর দেশের ফুটবল মহলে প্রশ্ন উঠে গেল ভারতীয় দলের ডাচ কোচ উইম কোভারম্যান্সকে নিয়ে। প্রশ্ন উঠছে কোচ বাছাই নিয়ে ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের নীতি নিয়েও। ইংল্যান্ডে টেস্ট সিরিজে ধোনিদের ভরাডুবির পর যেমন ডানকান ফ্লেচারকে কার্যত সতর্ক করে দেওয়া হল, তেমন কোভারম্যান্সের ক্ষেত্রেও এআইএফএফ এমনই পদক্ষেপ নেবে না কেন, এই প্রশ্নও উঠতে শুরু করে দিয়েছে।

পাকিস্তানের কাছে ০-২ হারের পর বিধ্বস্ত কোভারম্যান্সের ভারত। ছবি: পিটিআই

পাকিস্তানের কাছে ০-২ হারের পর বিধ্বস্ত কোভারম্যান্সের ভারত। ছবি: পিটিআই

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০১৪ ০৩:০৯
Share: Save:

দেশের মাঠে পাকিস্তানের কাছেও হারতে হল ভারতীয় ফুটবল দলকে। বুধবার বেঙ্গালুরুতে দুই ম্যাচের সিরিজের দ্বিতীয়টিতে ভারত ০-২ হারার পর দেশের ফুটবল মহলে প্রশ্ন উঠে গেল ভারতীয় দলের ডাচ কোচ উইম কোভারম্যান্সকে নিয়ে। প্রশ্ন উঠছে কোচ বাছাই নিয়ে ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের নীতি নিয়েও।

ইংল্যান্ডে টেস্ট সিরিজে ধোনিদের ভরাডুবির পর যেমন ডানকান ফ্লেচারকে কার্যত সতর্ক করে দেওয়া হল, তেমন কোভারম্যান্সের ক্ষেত্রেও এআইএফএফ এমনই পদক্ষেপ নেবে না কেন, এই প্রশ্নও উঠতে শুরু করে দিয়েছে। ঘরের মাঠে পাকিস্তানের কাছে ৫৫ বছর পর হার (শেষ বার হার ১৯৫৯ সালে, কোচিনে ০-১) শুধু নয়, ডাচ কোচের আমলে ভারত যে ভাবে মায়ানমার, নেপাল, আফগানিস্তানের কাছে হেরেছে, তার পর ভারতের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সেরা ফুটবলখেলিয়ে দেশের তকমাও এখন ধুলোয় মিশে গিয়েছে।

ভারতীয় দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর ২০১২-এ নেহরু কাপ জয় ছাড়া তেমন অবদান নেই কোভারম্যান্সের। গত বছর এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপের যোগ্যতাই পায়নি ভারত। সাফ কাপ ফাইনালে উঠেও আফগানিস্তানের কাছে দু’গোলে হেরে যায় তাঁর দল।

এর পরও তিনি কেন কোচ থাকবেন, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তাঁর আগে জাতীয় দলের দায়িত্বে থাকা আর্মান্দো কোলাসো। এ দিন ভারতের হারের খবর শোনার পর তিনি বলেন, “কোভারম্যান্স কী করে জানবে দেশের কোথায় ভাল ফুটবলার আছে? সে ভারতীয় ফুটবল সম্পর্কে কতটা জানে? যা হওয়ার তা-ই হয়েছে। ফেডারেশনের অতিরিক্ত বিদেশি কোচ প্রীতির জন্যই এমন হল।” আর এক প্রাক্তন ভারতীয় কোচ সৈয়দ নইমুদ্দিনের প্রশ্ন, “পাকিস্তানের কাছে এই হার যে কী লজ্জার, তা এই বিদেশি কোচ উপলব্ধি করতে পারবেন? মনে হয় না। তিনি তো পেশাদার কোচ। নিজের কাজ করবেন, প্রচুর টাকা নিয়ে চলে যাবেন। ভারতীয় ফুটবলের উন্নতি না হলে তাঁর কিছু এসে যায় না। ভারতীয় ফুটবলের উন্নতি ভারতীয় কোচেদের পক্ষেই সম্ভব।” প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক আইএম বিজয়ন অবশ্য কোচের ঘাড়ে সমস্ত দোষ চাপাতে রাজি নন। তাঁর যুক্তি, “ভাল ফুটবলার যেখানে নেই, সেখানে কোচ কী করবেন? ফেডারেশনকে ভাল ফুটবলার খুঁজে আনার জন্য আরও তৎপর হতে হবে। তা হলে দেশি, বিদেশি যে কোচই আসুক, তিনি সফল হবেন। খেলাটা মাঠে নেমে খেলে ফুটবলাররাই।”

সিরিজের প্রথম ম্যাচে এক গোলে জয়ের সুবাদে অবশ্য সিরিজটা হারতে হল না ভারতকে। ১-১-এই শেষ হল। এ দিন পাকিস্তানের কলিমুল্লাহ ও সাদ্দাম হুসেন গোল করেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE