অস্ত্রে শান। রাজস্থান প্র্যাকটিসে স্টিভ স্মিথ।
রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে দুর্দান্ত খেলা ধবল কুলকার্নি আর প্রবীণ তাম্বের কথা ভেবে মুম্বই নিশ্চয়ই শুকনো হেসেছে। ওরা তো মুম্বইয়েরই ঘরের প্রতিভা। অজিঙ্ক রাহানেও এক সময় ওদের দলে ছিল। আর সূর্যকুমার যাদব তাড়াতা়ড়িই হয়তো মুম্বইয়ের দীর্ঘশ্বাসের কারণ হয়ে উঠবে।
আইপিএল টিম রাজ্যের দল নয়, তাই প্রতিভারা যে দল পাল্টাবে সেটা স্বাভাবিক। কিঙ্গস ইলেভেন পঞ্জাবের মতো টিম যেমন একটা যুবরাজ সিংহ কিনতে পারবে না। কলকাতা নাইট রাইডার্সের আর্থিক ক্ষমতা আছে গৌতম গম্ভীরকে ধরে রাখার। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু আবার বিরাট কোহলিকে দিয়ে নিজেদের সুরে গান গাওয়াচ্ছে— লালা লা রে লা রে।
সব সময় যদিও টাকাটা শেষ কথা নয়। কিছু তরুণ প্রতিভার জন্য হোম টিম নিলামে যথেষ্ট দর হাঁকে না। যে কোনও মূল্যে কিনতেই হবে, এই তালিকায় তারা নেই। এখানে টাকা নয়, ফ্যাক্টর হল আস্থার অভাব। আর তাই কুলকার্নি, তাম্বেরা বেরিয়ে যায়।
এ ভাবে কিছু ধূর্ত জুয়াড়ি নিজের কাজ করে ফেলে। রাজস্থান হল এমন একটা টিম যারা মাটির খুব কাছাকাছি রাডারের বাইরে থাকে, আর ঘরের টিমে উপেক্ষিত তরুণদের তুলে নেয়। যে সব ফল মাটির কাছে ঝোলে, ওরা সেগুলোকে তাক করে। করুণ নায়ার আর দিশান্ত যাজ্ঞিক ছাড়া ওদের স্কোয়াডের কেউ রাজস্থানের নয়। বাকি টিম সেনাপতি নিয়ে লাফায়। রাজস্থান পদাতিক সৈন্য নিয়ে খুশি।
রাজস্থান এ বার চারটে ম্যাচ খেলে চারটেই জিতেছে। আর সবই বাইরের মাঠে। ওদের কাছে ‘হোম’ শব্দটার অর্থই অন্য রকম। ওদের রসায়ন হল ভিন্নমুখী প্রতিভার সঠিক মিশ্রণ।
চেন্নাই সুপার কিঙ্গসও এ রকম একটা টিম। ওদের টিমেরই সবচেয়ে বেশি প্লেয়ার জাতীয় দলে খেলে। কিন্তু কয়েক মরসুম আগেও জাডেজা বা অশ্বিন তারকা হয়ে ওঠেনি। মোহিত শর্মার হাতেখড়ি বলতে গেলে সিএসকে টিমে। চেন্নাই যে এদের উপর আস্থা রেখেছিল, তার ফসলটাই ভোগ করছে।
শনিবার দিল্লি মাঠে নামবে রাজ্যের একটাও প্লেয়ার না নিয়ে। ওদের বিপক্ষে দিল্লিরই দুই তারকা শিখর ধবন আর ইশান্ত শর্মা। এই দুটো টিম তারকার উপর ভরসা করে। বিশেষত বিদেশি তারকা। ওদের খেলা দেখুন। কয়েকটা সত্য উপলব্ধি করতে পারবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy