টাইব্রেকারে এল ফাইনালের টিকিট।
ক’দিন আগেই আটলেটিকো দে কলকাতার খারাপ সময়েও আনন্দবাজারে লিখেছিলাম, গার্সিয়ারা যদি সেমিফাইনালে ওঠে তা হলে আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হবে। বুধবারের পরেও নিজের ভবিষ্যদ্বাণী থেকে সরছি না। কেন?
এক) কলকাতা দলটায় গতির অভাব নেই। ক্রমাগত বিপক্ষের কাউন্টার অ্যাটাক রুখতে সফল হচ্ছে কারণ, প্রত্যেক ফুটবলার উপর-নীচ করতে ওস্তাদ। অসামান্য ওয়ার্ক রেট হাবাসের দলের ছেলেদের।
দুই) জমাট রক্ষণ। একটা দলকে তখনই দুর্দান্ত ডিফেন্সিভ সার্টিফিকেট দেওয়া যায়, যখন তার অ্যাটাকে থাকা ফুটবলাররাও ট্র্যাক-ব্যাক ক্রমাগত করতে থাকে। কলকাতার ডিফেন্সকে আরও জমাট করতে সাহায্য করছে ওদের ফরোয়ার্ডরাও। যার ফলে মাঝমাঠেই ভাঙছে বিপক্ষের আক্রমণ।
তিন) বিপক্ষের সেট পিস আটকানোর অস্ত্র আছে। অর্ণব-হোসেমিরা শূন্যের লড়াইয়ে টেক্কা দিতে পারছে। আবার ফাইনাল ট্যাকলেও বেশ ভাল।
চার) ফাইনালে ৪-২-৩-১ বা ৩-৫-২ নয়। বরং ৪-৪-২। চূড়ান্ত যুদ্ধ জিততে হলে একটা স্ট্রাইকারে খেললে হবে না। জোড়া স্ট্রাইকার লাগবেই। ওই ভূমিকায় কোনও মাঝমাঠ বা উইংগারকে খেলালে হবে না। এক জন ন্যাচরাল সেন্টার ফরোয়ার্ড চাই। হয় হাবাস মনোমালিন্য ভুলে ফিকরুকে খেলান। আর কোচ অনড় থাকলে আর্নাল। দু’জন সেন্টার ফরোয়ার্ড থাকলে গোলের সুযোগ বাড়বে। মাঝমাঠের সঙ্গে অ্যাটাকিং লাইনের যোগসূত্রও ভাল থাকবে। যেটা ৪-২-৩-১ বা ৩-৫-২-এ অতটা নাও থাকতে পারে।
পাঁচ) দলে ভাল গোলকিপার থাকা। এ দিন আটলেটিকোর জয়ের অন্যতম নায়ক কিপার এদেল বেটে। ছেলেটা ওদের ডিফেন্সের উপর থেকে চাপ কমিয়ে দিয়েছিল। বল হ্যান্ডলিং, লং কিক সব কিছুই ভাল। চাপের মুখে মাথা ঠান্ডা রাখতে জানে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy