ইস্টবেঙ্গলের ফুটবল টিম বিপর্যয়ের অতলে। যে দিন এলকো সতৌরির টিম পাঁচ গোল খাচ্ছে, ইস্টবেঙ্গলের মান রাখছে তখন ক্রিকেট টিমই। চলতি মরসুমে দ্বিমুকুট হয়ে গিয়েছে। এ বার বড় ম্যাচে মোহনবাগানকে হারানোর হ্যাটট্রিকও করে ফেলল ইস্টবেঙ্গল। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সল্টলেকের মাঠে পি সেন ট্রফি কোয়ার্টার ফাইনালে এ দিন ইস্টবেঙ্গল জিতল ৮০ রানে।
সিএবি লিগ, জেসি মুখোপাধ্যায় ট্রফির মুখোমুখি লড়াইয়ের পর তিন নম্বর জয়টাও এল দাপটে। সৌজন্যে ইস্টবেঙ্গলের ‘ক্যাপ্টেন স্পার্ক’ শুভজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সেঞ্চুরির (১২৪) সঙ্গে অনুষ্টুপ মজুমদার (৬১) আর ঋতম পোড়েলের (৫৪) ইনিংসের জোরে ইস্টবেঙ্গল তুলেছিল ৩৩১-৮। জবাবে অর্ণব নন্দীর (৪-৪৭) বোলিংয়ের দাপটে মোহনবাগান শেষ ২৫১ রানে। জয়জিৎ বসু (৯৮) ছাড়া কেউ রান পাননি।
কেন এই বিপর্যয়? বাংলাদেশ সফরে জাতীয় দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার আগে ক্লাবের হয়ে শেষ ম্যাচে নামা ঋদ্ধিমান সাহা বলেন, ‘‘আমাদের বোলিং ভাল হয়নি। বড় পার্টনারশিপ হয়নি। প্ল্যানিং কাজ করেনি। সব মিলিয়ে তালমিলটা ঠিক ছিল না।’’
ইস্টবেঙ্গল ক্যাপ্টেন জয়ের পুরো কৃতিত্ব দিচ্ছেন টিম স্পিরিটকে। সঙ্গে বলছেন ফুটবলে ব্যর্থতার হতাশা দর্শকরা যাতে ক্রিকেটে মিটিয়ে নিতে পারেন, সেই চেষ্টাই থাকবে। তার আগে ১ জুন সেমিফাইনালে লড়াই ওয়াইএমসিএ-র সঙ্গে। কালীঘাটের সামনে প্রেসিডেন্ট একাদশ। যারা ইডেনে এ দিন টাউনকে ১০ রানে হারায়। রোহন বন্দ্যোপাধ্যায় ৬১ ও মনোজ তিওয়ারি করেন ৫৯।
ওয়াইএমসিএ দলে এ বার আছেন মনদীপ সিংহ, পীযূষ চাওলার মতো তারকা ক্রিকেটার। তবে ইস্টবেঙ্গল ক্যাপ্টেনের আত্মবিশ্বাস অটুট। ‘‘গত বছর কোয়ার্টার ফাইনালে ওদের হারিয়েছিলাম। কোনও টিমকে আমরা হালকা ভাবে নিইনি। নেবও না,’’ বলছেন শুভজিত্। দলের মনোভাবটা আরও স্পষ্ট করে দিলেন অর্ণব নন্দী, ‘‘মরসুমে চারটে ট্রফি হয়ে গিয়েছে। এটাই শেষ ট্রফি। তাই সবাই জান লড়িয়ে দিয়েছে জিততে।’’
আজ আইএফএ শিল্ড ফাইনালে (অনূর্ধ্ব ১৯)
ইস্টবেঙ্গল বনাম ইউনাইটেড (বারাসত, বিকেল ৪-৩০)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy