বাবা-বোনের সঙ্গে সেলফি সানিয়ার। মঙ্গলবার হায়দরাবাদে। ছবি: পিটিআই
পেশাদার টেনিস ট্যুরে মরসুমের সেরা আট ‘র্যাঙ্কড্’ জুটির লড়াই— ওয়ার্ল্ড ফাইনালসে প্রথম বার নেমেই ডাবলস চ্যাম্পিয়ন সানিয়া মির্জার (কারা ব্ল্যাককে নিয়ে) নিজের শহরে ফিরে তিনটে ব্যাপার মনে হচ্ছে।
এক) ২০১৪-এ গ্র্যান্ড স্ল্যাম খেতাব (যুক্তরাষ্ট্র ওপেন মিক্সড ডাবলস), এশিয়াড সোনা (মিক্সড ডাবলসে) আর ওয়ার্ল্ড ফাইনালস খেতাব জেতায় এ বছরটাই তাঁর খেলোয়াড়জীবনের সেরা।
দুই) জিম্বাবোয়ান কারাকে নিয়ে তিন দিন আগেই ডাবলসে সেরার সেরা শিরোপা পেলেও তাঁর সঙ্গে চুক্তি পুনর্নবিকরণ না হওয়াটা সঠিক সিদ্ধান্ত। কারণ, তিনি নিজে ফর্মের মধ্যগগনে আছেন। সেখানে এক বাচ্চার মা কারার কাছে এটা টেনিসে নিজের কামব্যাক।
তিন) ওয়ার্ল্ড ফাইনালসের খেতাবি ম্যাচে শি আর পেংয়ের জুটিকে হারানোটাই তাঁর কেরিয়ারের সেরা জয়। যে-হেতু এই চিনা তাইপে জুটির তার আগে পেশাদার ট্যুরে ফাইনালে স্কোরলাইন ছিল ১২-০। ফাইনালে কখনও হারেনি।
‘শি-কে জুটি করে দু’হাজার পনেরোয় ডাবলস ট্যুরে খেলার আগে ওকে আমার ফর্মের আন্দাজ মনে হয় দিতে পেরেছি,” এ দিন হায়দরাবাদে তাঁর অ্যাকাডেমিতে একটি অনুষ্ঠানে সংবাদ সংস্থাকে বলেন সানিয়া।
প্রথম ভারতীয় মেয়ে হিসাবে ওয়ার্ল্ড ফাইনালসে খেতাব জেতায় এ দিনই সানিয়াকে অভিনন্দন জানিয়েছেন দেশের প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আগেই নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে সানিয়াকে লিখে অভিনন্দিত করেছিলেন। আপ্লুত সানিয়া সেই প্রসঙ্গে বলছেন, “প্রধানমন্ত্রী প্রচণ্ড উদ্যমী মানুষ। আমাদের দু’বার দেখা হয়েছে। তবে উনি অনেক বার আমাকে টুইট করেছেন। যেগুলো আমার দারুণ লেগেছে।”
অথচ কিছু দিন আগে বিজেপি-রই এক নেতা ‘পাকিস্তানের বিবি’ বলে সানিয়াকে কটাক্ষ করা নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল!
এই প্রশ্নের জবাবে এ দিন সানিয়া বলেছেন, “ওই বিতর্ক বরং আমাকে মানসিক ভাবে আরও শক্ত করেছে। যে জন্যই আমি ওয়ার্ল্ড ফাইনালস খেতাব আমার দেশকে, আমার ভারতকে উৎসর্গ করেছি। আসলে সমস্ত ভারতবাসীকেই আমার বিশ্বখেতাব উৎসর্গ করতে চেয়েছি। যাঁদের মধ্যে এ দেশের সেই সব মানুষও আছেন, যাঁরা আমাকে মানসিক ভাবে শক্ত করে তুলেছেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy