একে রামে রক্ষা নেই সুগ্রীব দোসর! ঘূর্ণি পিচে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই দক্ষিণ আফ্রিকার নয় বছরের টেস্ট সিরিজে অপরাজিত থাকার নজিরে লজ্জার কালো দাগ লাগার কারণ হিসেবে হয়তো এটাই জুতসই ট্যাগলাইন। যদিও সেটা ঘূর্ণি পিচ আর রবিচন্দ্রন অশ্বিন ভাবলে ভুল হবে। ওটা— রবিচন্দ্রন অশ্বিন আর রবীন্দ্র জাডেজা। দুই ‘আর’!
সিরিজে এ পর্যন্ত জাডেজার ১৬ উইকেট। সঙ্গে যোগ করতে হবে দু’টো টেস্টে দু’টো সুযোগ বিহীন ইনিংস— মোহালির ৩৮ আর নাগপুরের ৩৪।
তাঁর টিমের অলরাউন্ডারের স্বপ্নের প্রত্যাবর্তন দেখে সৌরাষ্ট্রের রঞ্জি কোচ সীতাংশু কোটাকের ব্যাখ্যা, ‘‘ও আত্মবিশ্বাসী ক্রিকেটার। দলের বাইরে থাকার সময়ে ও যদি ওর ক্রিকেটে কিছু সঞ্চয় করে থাকে তা হল আত্মবিশ্বাসটাই।’’ পরে যোগ করলেন, ‘‘নিজের খেলার উপর অগাধ বিশ্বাস ওর পারফরম্যান্সকে আরও ভাল করে তোলে। জা়ডেজা বাদ পড়ে বুঝে ফেলেছিল, জাতীয় দলে থাকার মতো খেলতে পারছে না। কিন্তু তাতে ও কুঁকড়ে যায়নি। ও জানত, ঘরোয়া ম্যাচে একমাত্র ভাল পারফরম্যান্সই ওকে আবার জাতীয় দলে ফিরিয়ে আনবে। সেটাই করেছে।’’
রঞ্জিতে এ বার টানা ছ’ইনিংসে পাঁচ বা তার বেশি উইকেট তুলেছেন জা়ডেজা। কোটাকের মন্তব্য, ‘‘মরসুমের শুরুতে সৌরাষ্ট্রের স্পিন সহায়ক পিচ অবশ্যই জাডেজাকে সাহায্য করেছে। যার জোরে ও জাতীয় দলে ফিরেছে। আর ওইটুকু সুবিধে ওকে আমরা দেব না-ই বা কেন! এই মুহূর্তে জা়ডেজাই সম্ভবত দেশের সেরা বাঁ-হাতি স্পিনার। যে উইকেটের সাহায্য পেলে একা হাতে বিপক্ষ ইনিংস শেষ করে দিতে পারে। এই সিরিজে ডাক পাওয়া ওর প্রাপ্য ছিল। এবং সেটা শুধু ওর উইকেট তোলার ক্ষমতার ভিত্তিতে নয়, লোয়ার অর্ডারে ব্যাটিং দক্ষতার জন্যও। টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে জাডেজার আত্মবিশ্বাস আকাশচুম্বী ছিল।’’
তা হলে কি ভারতীয় টেস্ট দলে অলরাউন্ডার খোঁজে ইতি পড়ল? জা়ডেজার কোচ বলছেন, ‘‘হ্যাঁ, আমি সে রকমই মনে করি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy