বিপজ্জনক খেলা। টিভি শো-এর অ্যাঙ্করের মুখে গল্ফ বল বসাচ্ছেন সৌরভ। লন্ডনে। ছবি: টুইটার
লর্ডসে ইশান্ত শর্মার শর্ট বলের সামনে বিধ্বস্ত হয়ে হারতে হয়েছে। এ বার তৃতীয় টেস্ট শুরু হওয়ার আগে তাই পিচ নিয়ে হোমওয়ার্কে ব্যস্ত ইংল্যান্ড অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুক ও তাঁর দলবল।
এই পরিস্থিতিতে হ্যাম্পশায়ারের রোজ বোল-এ তৃতীয় টেস্টের আগে অবশ্য কুক বাহিনীকে কিছুটা হলেও আশ্বস্ত করছে পিচ প্রস্তুতকারকের মন্তব্য। এ দিনই রোজ বোল-এর মুখ্য গ্রাউন্ডসম্যান নাইজেল গ্রে বলেছেন, “পিচে ঘাস রয়েছে। ভাল ক্রিকেটের জন্য আদর্শ উইকেটই থাকবে তৃতীয় টেস্টে।”
এখানেই না থেমে গ্রে আরও বলেন, “লর্ডস টেস্ট শুরুর দিনে পিচ যে রকম সবুজ ছিল অতটা ঘাস অবশ্য রাখা হচ্ছে না। ফলে পিচ থেকে বোলার, ব্যাটসম্যান দু’জনেই সুবিধা পাবেন। পিচ একপেশে আচরণ করতে পারবে না। একদম স্পোর্টিং উইকেটই পাবে দু’দল।”
উল্লেখ্য, প্রথম টেস্টে ট্রেন্টব্রিজ পিচ নিয়ে ব্রিটিশ মিডিয়া এবং প্রাক্তন ক্রিকেটাররা তুলোধনা করেছিলেন পিচ প্রস্তুতকারকদের। আইসিসিও স্বীকার করে নেয়, প্রথম টেস্টের পিচ আদৌ উচ্চমানের ছিল না। এরপরেই লর্ডসে গ্রিন টপের সামনে ম্যাচ গড়াতেই নাকানি-চোবানি খেয়ে মুখ থুবড়ে পড়ে ইংল্যান্ড। তাই এ বার আগামী রবিবার থেকে শুরু হতে চলা টেস্টের আগে রোজ বোল-এর পিচ নিয়ে সম্ভবত ড্যামেজ কন্ট্রোলের ব্যবস্থা চলছে। প্রস্তুতকারক বলছেন, “উইকেট থেকে সিমাররাও যেমন সাহায্য পাবে, ঠিক তেমনই ব্যাটসম্যানদেরও স্ট্রোক নিতে অসুবিধা হবে না।”
এ দিকে, লর্ডস টেস্ট জেতার পর ভারত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনির স্ট্র্যাটেজি নিয়ে প্রশংসা হলেও উইকেটের পিছনে তাঁর ফর্ম নিয়ে মোটেও উচ্ছ্বসিত নন প্রাক্তন ভারতীয় কিপার সৈয়দ কিরমানি। এমনকী ধোনির টেকনিক নিয়েও খুশি নন তিনি। তাঁর কথায়, “নিজের খেলার ভিডিও ফুটেজ খুঁটিয়ে দেখুক ধোনি। তা হলেই বুঝতে পারবে ফর্মের ধারকাছ দিয়ে যাচ্ছে না ও।”
কিপিং টেকনিকে ভারত অধিনায়কের ঠিক কী সমস্যা হচ্ছে তা নিয়েও আলোকপাত করেছেন কিরমানি। বলেছেন, “ধোনি কোমর বা কাঁধের ওপরের বল যে ভাবে ধরছে সমস্যা ঠিক ওখানেই। এ ছাড়াও ফিল্ডাররা উইকেটে বল ছোড়ার সময়ও দেখা যাচ্ছে ধোনি স্টাম্পের পিছনে দাঁড়িয়ে তা ধরার বদলে স্টাম্পের সামনে দাঁড়িয়ে বল গ্লাভসবন্দি করছে। যা একদমই ঠিক নয়।”
উল্লেখ্য, দু’টেস্টে ২৪ রান বাই দিয়েছেন ধোনি। এ ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ক্যাচও পড়েছে ধোনির হাত থেকে। লর্ডসেই ৩২ রানের মাথায় ফস্কেছিলেন গ্যারি ব্যালান্সকে। যার মাশুল হিসেবে সেঞ্চুরি করে ইংল্যান্ডকে প্রথম ইনিংস লিড এনে দেন ব্যালান্স। তার পরেই ধোনির কিপিং ফর্ম নিয়ে আশঙ্কিত প্রাক্তনরা। কিরমানির মতে, “আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ধকলের জন্যই ধোনির এই পড়তি ফর্ম। বিশ্রাম নিলেই ফের ছন্দে পাওয়া যাবে ওকে।”
ধোনির কিপিং ফর্ম নিয়ে কিরমানি সমালোচনা করলেও ভারত অধিনায়কের মগজাস্ত্র নিয়ে কিন্তু প্রশংসায় পঞ্চমুখ ভিভিএস লক্ষ্মণ। তাঁর কথায়, “ভারতীয় বোলাররা বাউন্সার দিতে পারে না বলে যে মিথ বিশ্ব ক্রিকেটে রয়েছে, তা ঠিক নয়। লর্ডসেই তা প্রমাণ হয়ে গেল।” এখানেই না থেমে ভারতীয় দলে ধোনির একদা সতীর্থ বলেন, “বিপক্ষ যদি বাউন্সারের মোকাবিলা করতে গিয়ে নড়বড় করে, তা হলে সেটাই তাকে প্যাভিলয়নে পাঠানোর সঠিক ওষুধ। ধোনি ঠিক সেটাই করেছে লর্ডসে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy