শুক্রবারের ম্যাচটা ভারতের কাছে যত বড়, তার চেয়েও বড় ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য। কারণ এই ম্যাচটা ওদের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ। আমি এখনও মনে করি, যে আটটা টিম কোয়ার্টার ফাইনালে উঠবে তারা যে কোনও দিন একে অন্যকে হারিয়ে দিতে পারে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল শেষ আটে পৌঁছনো আর তার পর সেখান থেকে এগোনো। পারথের উইকেট ওদের আশা আর সুযোগ জোগাতে পারবে। ক্যারিবিয়ান পেস বোলিং অ্যাটাক খুব ভাল, আর পারথ পিচে সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণও। কিন্তু ভাল পেস আক্রমণ থাকা মানেই সাফল্য আসবে, সেটা নয়। কারণ ওদের মোকাবিলা করতে হবে ফর্মে থাকা ভারতীয় ব্যাটিংয়ের। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে যদি এই ম্যাচে কোনও প্রভাব ফেলতে হয়, তা হলে ওদের দরকার শৃঙ্খলা।
আমিরশাহি ম্যাচে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের স্পেল দেখিয়ে দিয়েছে, এই পিচে স্পিনাররা বাউন্স পাবে। কিন্তু সুনীল নারিন না থাকায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ টিমে সে রকম ভাল মানের স্পিনারই তো নেই। সুলেমান বেন একটা বিকল্প হতে পারে। কিন্তু তার আগে ওকে তো ডে’ভিলিয়ার্স-ঝড়ের রেশ কাটিয়ে উঠতে হবে। টসটা আবার গুরুত্বপূর্ণ হতে যাচ্ছে। যে টিমগুলো আগে ব্যাট করছে, তারাই কিন্তু ম্যাচটা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখছে। আর কয়েকটা স্কোর এতই অবিশ্বাস্য যে, বিপক্ষ ব্যাটিংকে লড়াইয়ের সুযোগই দিচ্ছে না।
বিশ্বকাপে ভারতের রূপান্তর সত্যি সত্যিই অসাধারণ। ওদের এখন টিম হিসেবে বেশ জমাট দেখাচ্ছে। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজের কয়েক জন ব্যাটিং তারকার ম্যাচ জেতানোর ক্ষমতা ছোট করে দেখলে চলবে না। ওদের স্বভাবই হল, এক দিন গরমাগরম থাকব তো পরের দিন বরফের মতো ঠান্ডা। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে যদি বিশ্বকাপে প্রত্যাবর্তন ঘটাতে হয়, তা হলে ক্রিস গেইলকে নিজের সেরা ফর্মে ফিরতে হবে। ঠিক যেমন ভারতের দরকারে ঠিক সময় উঠে দাঁড়িয়েছে শিখর ধবন।
শুক্রবার প্রথম এগারোয় ফিরতে পারে মহম্মদ শামি। যেটা ভারতের কাছে একটা বড় প্লাস পয়েন্ট হবে। কিন্তু শামির যদি সামান্যতম চোটও থাকে, তা হলে আমি বলব ওকে বিশ্রাম দেওয়া উচিত। কারণ এখন ভারতের কাছে কোয়ার্টার ফাইনালটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। শামি না খেললে ভারতীয় টিমে কোনও বদল হবে বলে মনে হয় না। ওয়েস্ট ইন্ডিজ যদিও চাইবে ডারেন ব্র্যাভো ফিট হয়ে উঠুক। মাঝের ওভারে ব্র্যাভো সত্যিই দুর্দান্ত। আর পারথের পিচে রান তুলতে হলে ভাল টেকনিকটা খুব দরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy