মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে প্র্যাক্টিসের ফাঁকে রোনাল্ডো। ছবি: এপি
পুরোদমে স্ট্রেচিং চলছে। কখনও হাঁটু নিয়ে আলাদা কসরত। কখনও ফিটনেস বাড়ানোর অনুশীলন। এক বার বাঁ-হাতের বুড়ো আঙুলটা তুলেও ধরলেন। সমর্থকদের উদ্দেশে? এটা বোঝাতে যে শনিবারের ‘মহাম্যাচে’ তিনি নামছেন? রিয়ালের প্র্যাকটিসে ইস্টার্ন মিশিগান ইউনিভার্সিটির মাঠে শুক্রবার তাঁর সমর্থকদের আশঙ্কা কিছুটা হলেও দূর করলেন তিনি—ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো।
রিয়াল মহাতারকার শনিবার ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে মাঠে ফেরা নিয়ে মিশিগানে উত্তেজনা তুঙ্গে। প্রায় এক লাখ দশ হাজার টিকিট বিক্রি শেষ। গ্যারেথ বেল, রুনিদের নিয়ে মাতামাতি তো আছেই কিন্তু পুরনো ক্লাবের বিরুদ্ধে পর্তুগিজ মহাতারকার ফেরা নিয়েই আশঙ্কাটা ছিল সবচেয়ে বেশি। কেননা সোমবার টিমের প্রাক-মরসুমের প্র্যাকটিসে যোগ দিলেও পুরোপুরি ফিট মনে হয়নি রোনাল্ডোকে। যে প্রাক-মরসুম টুর্নামেন্ট খেলতে এখন মার্কিন মুলুকে রিয়াল, তাতে বৃহস্পতিবার রোমার বিরুদ্ধে রোনাল্ডো নামেননি। ম্যাচটা ০-১ হেরেছিল রিয়াল।
এর মধ্যে আবার সিআর সেভেনের অন্তর্বাস ব্যবসা বড়সড় বাধার মুখে পড়ল। ক্রিস্টোফার রেনজি নামে এক ব্যক্তি রোনাল্ডোর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। সমস্যার মূলে ‘সিআর সেভেন’ নামটাই। রেনজির দাবি ট্রেডমার্কটা তাঁর। নামের প্রথম দু’অক্ষর আর জন্মমাসের জন্য এই নামটাই তাঁর পছন্দ হয়েছিল আর ২০০৯ সাল থেকে সেটা ব্যবহারও করছেন আইন মেনে। তাঁর ফিটনেস চেন, ওয়েবসাইটও রয়েছে এই নামেই। রোনাল্ডোর অন্তর্বাস সংক্রান্ত ব্যবসার পিছনে যে সংস্থা, তারা রেনজিকে ট্রেডমার্কটি ছেড়ে দেওয়ার চিঠি দিয়েছে। কিন্তু তা মানতে নারাজ রেনজি। বরং রিয়াল তারকার সংস্থাকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে মামলা করে বসেছেন।
মিশিগানে মাঠের ভিতরের চ্যালেঞ্জও কি কিছু কম সিআর সেভেনের? একে ফিটনেস, তার উপর ফর্ম। বিশ্বকাপ থেকে যা তাড়া করে বেড়াচ্ছে রোনাল্ডোকে। লুই ফান গল ম্যান ইউয়ের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত অপরাজিত। ফান গলের টিমের বিরুদ্ধে তাই প্রাক্তন রেড ডেভিল-এর রিয়াল জার্সিতে জ্বলে ওঠার চ্যালেঞ্জ।
দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ম্যান ইউকে কিছুটা হলেও ছন্দে ফিরিয়ে আনতে পেরেছেন ডাচ কোচ। ফান গলের পরিকল্পনার কিছুটা ফাঁস হয়ে গিয়েছে ব্রিটিশ মিডিয়ায়। ক্যারিংটন ট্রেনিং গ্রাউন্ডের ভোল পাল্টাতে চান ফান গল। প্রায় পাঁচ লক্ষ পাউন্ডের ক্যামেরা বসানোর কথা বলেছেন তিনি। যাতে প্লেয়ারদের উপর আরও নজর রাখা যায়। মাঠে প্রত্যেক প্লেয়ারের ‘পজিশনিং’ নিয়ে আলাদা করে বিশ্লেষণ করা যায়। আয়তাকার টেবিলের জায়গায় গোল টেবিল বসানো হয়েছে। যাতে খাওয়ার সময় প্লেয়ারদের মধ্যে কথাবার্তা বলার সুযোগ আরও বাড়ে।
পুরনো টিমের বিরুদ্ধে রোনাল্ডোর মাঠে ফেরাটা অস্বস্তিতে রাখার সব আয়োজনও সেরে রেখেছেন ম্যান ইউ-র ‘কড়া হেডস্যার।’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy