রজার্সের চোট দেখে নতুন হেলমেটে সাবধানী ক্লার্ক।
দশ বছর আগে এজবাস্টনে একটা অ্যাসেজ টেস্টের প্রসঙ্গ ঘুরেফিরে আসছে ব্রিটিশ ক্রিকেট-আলোচনায়। ২০০৫ অগস্টে সেই টেস্টটা নাটকীয় ভাবে দু’রানে জিতেছিল ইংল্যান্ড। এ বারও এজবাস্টন অ্যালিস্টার কুকদের জন্য ভাল কিছু নিয়ে অপেক্ষা করে আছে কি না, এখনই জানা সম্ভব নয়। তবে যেটা নিশ্চিত তা হল, গতি আর বাউন্সে ভরা উইকেট নিয়ে অ্যাসেজের তৃতীয় টেস্ট শুরুর অপেক্ষায় রয়েছে এজবাস্টন।
হয়তো সে জন্যই ইংরেজ শিবিরের কথাবার্তায় বারবার উঠে আসছে মিচেল জনসনের নাম। যাঁর নেতৃত্বে অস্ট্রেলীয় পেস ব্যাটারি পুড়িয়ে ছাই করে দিয়েছিল ইংরেজ ব্যাটিং গর্বকে। কার্ডিফে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে কোনও উইকেট পাননি বলে গ্যালারি তাঁকে টিটকিরি দিতে দ্বিধা করেনি। জনসনও পাল্টা দিয়েছেন লর্ডস টেস্ট ৬-৮০ দিয়ে শেষ করে। আর তাই হয়তো ইংল্যান্ডকে তার সমর্থকদের বারবার আশ্বস্ত করতে হচ্ছে যে, মিচ-আতঙ্ক কাটিয়ে উঠেছে টিম। জো রুটকে সাংবাদিক সম্মেলনে এসে মিচ প্রসঙ্গে বলতে হচ্ছে, ‘‘এক জনকে নিয়ে ভাবাটা ভুল। কার্ডিফে তো ও মাত্র দুটো দামি উইকেট পেয়েছিল। আমার টিমই বরং ওকে চাপে রাখবে।’’
অস্ট্রেলিয়াকে চাপে রাখার নতুন স্ট্র্যাটেজি বলতে, গ্যারি ব্যালান্সের বদলে জনি বেয়ারস্টোকে টিমে রাখা আর অভিজ্ঞ ইয়ান বেলকে তিনে তুলে আনা। কিন্তু ঘটনা হচ্ছে, বেল মোটেও রানের মধ্যে নেই। আর জনি বেয়ারস্টো শেষ টেস্ট খেলেছেন এক বছর আগে, এই অ্যাসেজেই। ঘরোয়া ক্রিকেটের সাম্প্রতিক ভাল ফর্ম তাঁকে অ্যাসেজের জন্য কতটা তৈরি করেছে, বলা কঠিন। সেটা জানেন বলেই বোধহয় ব্রিটিশ টপ অর্ডারে স্থৈর্য আনার চেষ্টাকে বিশেষ পাত্তা দিতে রাজি নন মিচেল স্টার্ক। শেষ তেরোটা টেস্টে ইংল্যান্ডের টপ অর্ডার সাত বার ধসে গিয়েছে। তাই স্টার্ক শুনিয়ে রাখছেন, গতির আগুন একটুও কমাবেন না তাঁরা। ‘‘লর্ডসে শেষের দিকে মিচ যে গতিতে বলটা করল, এজবাস্টনেও আমরা সে ভাবে শুরু করব। ওদের কাউকে কাউকে ক্রিজে লাফিয়ে বেড়াতে দেখতে যে কী দারুণ লাগে!’’ বলছেন স্টার্ক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy