ফুটবলার নিলামে অংশ নিতে আজ মঙ্গলবার শহরে আসছেন আন্তোনিও লোপেজ হাবাস। মুম্বইতে শুক্রবার আইএসএলের নিলামে যোগ দিয়ে পরের দিনই সেখান থেকে মাদ্রিদ ফিরবেন আটলেটিকো দে কলকাতা কোচ। আবার আসবেন অগস্টের শেষে, টিমের অনুশীলন শুরুর সময়। এ বারও দু’সপ্তাহের জন্য মাদ্রিদে অনুশীলন করতে যাবে এটিকে।
দেশীয় ফুটবলারদের নিলামের যে তালিকা আইএমজিআরের পক্ষ থেকে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের কাছে পাঠানো হয়েছে তাতে সুনীল ছেত্রী, রবিন সিংহ, কেভিন লোবো, শিল্টন পাল, দেবজিৎ মজুমদার, মহম্মদ রফিক, হাউকিপ-সহ ১২৪ জনের নাম আছে। ক’জন অবশ্য বিক্রি হবেন সেটা নিয়ে ইতিমধ্যেই গুঞ্জন শুরু হয়েছে। কারণ ইতিমধ্যেই আট দলের বেশিরভাগই দেশি ফুটবলার অনেক নিয়ে ফেলেছে। যেমন এফ সি গোয়া। তাদের দেশজ কোটা প্রায় পূর্ণ।
কলকাতার কোটা পূরণের জন্য অবশ্য এখনও জনা পাঁচেক ফুটবলার নেওয়ার সুযোগ আছে। নিয়মানুযায়ী চোদ্দো ভারতীয় ফুটবলারের মধ্য নয় জনকে এখনও পর্যন্ত সই করিয়েছে এটিকে। কলকাতার টিম ম্যানেজমেন্ট নিলামের পুরো তালিকা পাঠিয়ে দিয়েছে হাবাসের কাছে। যে তালিকা থেকে কোন কোন ফুটবলারকে নেওয়া হবে তা ঠিক করে নিলামের টেবলে বসবেন গতবারের চ্যাম্পিয়ন টিমের কোচ। তবে হাবাসের কলকাতা যাঁকে চাইবে তাঁকেই পাবে এ রকম সম্ভাবনা নেই। কারণ নিলামের সময় কোন টেবলে টিম কলকাতা বসবে তার উপর নির্ভর করবে প্রায় সব কিছু। যেমন হাবাস চাইছেন বাগান কিপার দেবজিৎ মজুমদারকে। কিন্তু কলকাতা যদি চার নম্বর টেবল পায়, তা হলে আগের তিনটে টেবলে বসে থাকা অন্য কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি টিম দেবজিৎকে চাইলে নিয়ে নিতে পারবেন।
বৃহস্পতিবার মুম্বই যাওয়ার আগে শহরে সাংবাদিক সম্মেলন করা ছাড়াও টিমের মালিকদের সঙ্গেও কথা বলবেন হাবাস। কথা হবে নতুন মরসুমের পরিকল্পনা নিয়ে। মুম্বইতে হাবাসের সঙ্গে নিলামে অংশ নেওয়ার জন্য টিমের অন্যতম মালিক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু এখনও তিনি সবুজ সঙ্কেত দেননি। জানা গিয়েছে, কলকাতার কর্তাদের কাছে এক বা দু’জন কিপার, দু’জন মিডিও এবং সাইডব্যাক নেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন কোচ। মোট সাত জন মার্কি ফুটবলারের সঙ্গে কথা চালাচ্ছেন এটিকে কর্তারা। কথা বলছেন হাবাসও। তালিকায় ফোরলান, কাকা, পেরুর সর্বকালের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার, ক্লদিও পিজারোর নাম থাকলেও গতবারের নিজেদের মার্কি ফুটবলার লুই গার্সিয়ার নাম নেই। কলকাতার এক কর্তা বললেন, ‘‘ইউরোপের ট্রান্সফার সিজন শুরু হয়েছে। আমরা হাবাসকে সাত জনের তালিকা পাঠিয়েছি। উনি কথা বলছেন। নাম চূড়ান্ত হলে আর্থিক বিষয় নিয়ে কথা বলব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy