Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

টুকরো খবর

মারকুটে ব্যাটসম্যান বলে গত দু’মরসুম সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টির বাংলা টিমে দেখা গিয়েছে তাঁকে। কিন্তু তিন-চারটে সুযোগ পেয়েও কিছু করতে পারেননি। অভিষেক দাসের বিস্ফোরণ ঘটল শেষ পর্যন্ত ক্লাব ক্রিকেটে। ভবানীপুরের হয়ে শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের বিরুদ্ধে একেবারে ডাবল সেঞ্চুরি করে বসলেন তিনি!

শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০১৪ ০২:৩৯
Share: Save:

ধোনিমন্ত্রে টি-টোয়েন্টিতে ডাবল সেঞ্চুরি অভিষেকের

নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা

মারকুটে ব্যাটসম্যান বলে গত দু’মরসুম সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টির বাংলা টিমে দেখা গিয়েছে তাঁকে। কিন্তু তিন-চারটে সুযোগ পেয়েও কিছু করতে পারেননি। অভিষেক দাসের বিস্ফোরণ ঘটল শেষ পর্যন্ত ক্লাব ক্রিকেটে। ভবানীপুরের হয়ে শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের বিরুদ্ধে একেবারে ডাবল সেঞ্চুরি করে বসলেন তিনি! তা-ও জেসি মুখোপাধ্যায় ট্রফির টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে। মাত্র ৬৮ বলে এ দিন ২০৪ করে যান অভিষেক। চোদ্দোটা বাউন্ডারির সঙ্গে মারেন ২৩টা বিশাল ছক্কা। যা ময়দানে তো বটেই, ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের ঘরোয়া লিগেও বিরল ঘটনা। যা ঘটিয়ে অভিষেক বলে দিলেন, পাওয়ার হিটিং বরাবরের পছন্দ ছিল তাঁর। এত দিন পর যা স্বীকৃতি পেল। “দেড়শো পর্যন্ত ধরে রেখেছিলাম। কিন্তু দু’শো কর ফেলব কখনও ভাবিনি। ভগবান চেয়েছিলেন, হয়ে গেল,” বলছিলেন অভিষেক। যিনি একই সঙ্গে সচিন তেন্ডুলকর এবং মহেন্দ্র সিংহ ধোনির ভক্ত। বলছেন, “ব্যাটসম্যান হিসেবে সচিন আমার রোল মডেল। আর পাওয়ার হিটিং প্রসঙ্গে ধোনি। এমএসডির মতো আমিও ফিনিশার হতে চাই।” মাত্র পাঁচ বছর বয়সে ক্রিকেট শুরু শ্যামনগরের অভিষেকের। “আমার ক্রিকেটের পিছনে মূল প্রেরণা আমার বাবা। উনি না থাকলে কিছুই হত না। আজ ঠিক করেই রেখেছিলাম, যা মারব, জোরে মারব। এমনিতে আমি দিনে সাত-আট ঘণ্টা ক্রিকেট নিয়ে পড়ে থাকি। ট্রেনিং করি।” তাঁরই দাপটে ম্যাচে ভবানীপুর (৩৩০-৪) ১৩৭ রানে হারাল পশ্চিমবঙ্গ পুলিশকে।

জালে ২৮ চাকার, কনুই ভাঙছে ৩০ ডিগ্রিরও বেশি

নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা

ময়দান চাকারময়! সব মিলিয়ে প্রায় আড়াই ডজন চাকার ধরা পড়ল ময়দানে। এএন ঘোষ ট্রফি ও সিএবি লিগের প্রথম দু’রাউন্ডে ২৮ চাকারকে ধরেছেন আম্পায়াররা। শুক্রবার প্রায় সারা দিন ধরে এঁদের অ্যাকশনের ভিডিও বিশ্লেষণ হয়। বাংলা তথা ভারতীয় দলের প্রাক্তন অফ স্পিনার শরদিন্দু মুখোপাধ্যায় ছিলেন এদের অ্যাকশন বিশ্লষণের দায়িত্বে। তিনিও চাকিংয়ের ঘটা দেখে অবাক। বললেন, “ইদানিং চাকিংয়ের প্রবণতা খুব অবাক করার মতো। তবে এটা অস্বাভাবিকও নয়। ” এ দিন যে জনা কুড়ি বোলার এসেছিলেন, তাঁদের মধ্যে জনা পাঁচেকের কনুই ৩০ ডিগ্রিরও বেশি ভাঙছে বলে সিএবি সূত্রের খবর। সবচেয়ে বড় কথা এঁরা মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল, মহমেডান, ভবানীপুর, শ্যামবাজার, টাউনের মতো নামী দলগুলির হয়ে খেলেন। এমনকী এই তালিকায় থাকা দু’জন ভিশন ২০২০-তে মুথাইয়া মুরলীধরনের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন। তিন জন পেস বোলারও আছেন তালিকায়। শুক্রবার সারা দিন ধরে এঁদের ত্রুটি ও তা শোধরানোর পদ্ধতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল করা হল। সেই অনুযায়ী তারা নিজেদের শোধরাতে পারছে কি না, তা দেখা হবে। তার পর এদের ভবিষ্যত নির্ধারণ করা হবে বলে সিএবি সূত্রের খবর। তবে বহু দিন ধরে যাঁরা ময়দানে চাকিং করে যাচ্ছেন, সেই সব সিনিয়রদের ভবিষ্যত্‌ শেষ বলই ইঙ্গিত দিচ্ছে সিএবি।

বিশ্ব সুপার ফাইনালের শেষ চারে সাইনা, শ্রীকান্ত

সংবাদ সংস্থা • দুবাই

মরসুম শেষের বিশ্ব সুপার সিরিজ ফাইনালের সেমিফাইনালে উঠলেন সাইনা নেহওয়াল। গ্রুপের শেষ ম্যাচে কোরিয়ার বায়ে ইয়ুন জুকে এক গেমে পিছিয়ে পড়েও রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে ১৫-২১, ২১-৭, ২১-১৭ হারান হায়দরাবাদি ব্যাডমিন্টন কন্যা। অন্য দিকে, গ্রুপের শেষ ম্যাচে হেরেও শেষ চারে উঠে গেলেন কিদাম্বি শ্রীকান্ত। আগের দুটো ম্যাচ তিনি জিতেছিলেন। হামদান স্পোর্টস কমপ্লেক্সে প্রথম গেম হাতছাড়া হওয়ার পর দ্বিতীয় গেমে সাইনার মরিয়া আক্রমণের চাপ সামলাতে পারেননি বিশ্বের আট নম্বর কোরীয়। সাইনার ফোরহ্যান্ড, ড্রপ শট আর নেট প্লের সামনে বিপদে পড়েন জু। একটা সময় ১৭ পয়েন্টের মধ্যে ১৬ পয়েন্টই তোলেন সাইনা। তৃতীয় গেমে অবশ্য জু উঠে দাঁড়ান। পাল্টা আক্রমণের স্ট্র‌্যাটেজি নেন। জবাব দিতে থাকেন সাইনার দুরন্ত র‌্যালি আর নেট প্লে-র। বিশ্বের চার নম্বর ভারতীয় তারকা প্রতিপক্ষের চ্যালেঞ্জ মাথা ঠাণ্ডা রেখে সামলান। সঙ্গে প্রতিআক্রমণও করছিলেন। সাইনার এই জোড়া অস্ত্রের জবাব ছিল না জু-র কাছে। দশ লক্ষ মার্কিন ডলার পুরস্কার মূল্যের টুর্নামেন্টের কঠিন গ্রুপে সাইনার শুরুটাই দুরন্ত হয়েছিল। এশিয়াড চ্যাম্পিয়ন চিনের শিজিয়ান ওয়াংকে হারিয়ে।

পেশোয়ারকে সাহায্য আমিরের

জঙ্গি হানায় বিধ্বস্ত পেশোয়ারের স্কুল পুনর্নির্মাণের জন্য নিজের বহুমূল্য শর্টস দান করছেন বক্সার আমির খান। পাক বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ বক্সার গত সপ্তাহেই তিরিশ হাজার পাউন্ড মূল্যের ওই শর্টস পরে লাস ভেগাসে নিজের ওয়েল্টারওয়েট বিশ্বখেতাব রক্ষা করেন। এ বছরই মে মাসে বাবা হওয়া আমির শিশুহত্যায় স্বভাবতই বিহ্বল। একটি সাক্ষাত্‌কারে তিনি বলেন, “ইংল্যান্ডে আমাদের নিরাপত্তা এত ভাল যে আমার ছোট্ট মেয়েটাকে স্কুলে পাঠিয়ে নিশ্চিন্ত থাকতে পারব যে, ও অক্ষত থাকবে। পাকিস্তানে তা অসম্ভব।”

ছোটদের ডার্বি ড্র

অনূর্ধ্ব-১৯ আই লিগের প্রথম ডার্বি ০-০ ড্র করল ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান। মোহনবাগানের গোল না পাওয়ার জন্য কোচ ডগলাস ডি সিলভা লাল-হলুদ মাঠকে দায়ী করে বলেন, “মাঠের অবস্থা খুব খারাপ। বল আয়ত্তে রাখা যাচ্ছিল না।” ঘরের মাঠে ড্র করে ইস্টবেঙ্গল জুনিয়র টিমের কোচ তরুণ দে হতাশ। “এই মাঠেই সারা বছর আমরা প্র‌্যাকটিস করি। ডার্বি বলেই হয়তো একটু চাপে পড়ে গিয়েছিল টিম।” এ দিন ড্র করে দু’ম্যাচে চার পয়েন্ট ইস্টবেঙ্গলের। সমসংখ্যক ম্যাচে মোহনবাগানের ১ পয়েন্ট।

কোচবিহারে ত্রিদেশীয় ক্যারাটে

ত্রিদেশীয় ক্যারাটে প্রতিযোগিতা শুরু হল কোচবিহারে। শুক্রবার বিকেলে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ওই প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন রাজ্যের পরিষদীয় সচিব রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। পশ্চিমবঙ্গ মার্শাল আর্ট স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে আয়োজিত ওই প্রতিযোগিতা ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। উদ্যোক্তারা জানান, ভারতের ২২টি রাজ্যের প্রতিযোগীরা ছাড়াও বাংলাদেশ ও নেপাল থেকে খেলোয়াড়রা ইতিমধ্যে কোচবিহারে এসে পৌঁছেছেন। ক্যারাটে প্রতিযোগিতার আয়োজক কমিটির সভাপতি পার্থ মল্লিক বলেন, তিন দেশের এক হাজারেরও বেশি প্রতিযোগী যোগ দিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE