Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

মোহন সমর্থকদের বলছি, দুঃখিত

ইস্টবেঙ্গলের অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে গিয়ে শনিবার আমার করা কিছু মন্তব্য নিয়ে হঠাৎ-ই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। যা সত্যিই আমাকে বেশ বিব্রত ও অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে। ইস্টবেঙ্গল কর্তারা আমার বাড়িতে এসে অনুষ্ঠানে যেতে অনুরোধ করেছিলেন। আমি নিমন্ত্রণ গ্রহণ করে গিয়েওছিলাম। এবং ওদের অনুরোধে বক্তৃতা দিতে গিয়ে হয়তো কিছুটা অতিশয়োক্তি করে ফেলেছি। হয়তো অতিরঞ্জিতও হয়ে গিয়েছে কিছু কথা।

চুনী গোস্বামী
শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০১৫ ০২:৫৯
Share: Save:

ইস্টবেঙ্গলের অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে গিয়ে শনিবার আমার করা কিছু মন্তব্য নিয়ে হঠাৎ-ই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। যা সত্যিই আমাকে বেশ বিব্রত ও অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে।
ইস্টবেঙ্গল কর্তারা আমার বাড়িতে এসে অনুষ্ঠানে যেতে অনুরোধ করেছিলেন। আমি নিমন্ত্রণ গ্রহণ করে গিয়েওছিলাম। এবং ওদের অনুরোধে বক্তৃতা দিতে গিয়ে হয়তো কিছুটা অতিশয়োক্তি করে ফেলেছি। হয়তো অতিরঞ্জিতও হয়ে গিয়েছে কিছু কথা। তবে আমি কাউকে আঘাত করার জন্য এ সব বলিনি। অতিথির বাড়িতে গেলে যা হয়, সবই ভাল-ভাল বলতে হয়। সে রকমটাই করেছিলাম। কোনও অনুষ্ঠান বাড়িতে গিয়ে ডালে যদি নুন কম হয়, তা হলে কি ফিরে আসার সময় সেটা কেউ বলে? আমি সে রকমই বলেছি মনে করুন।
তা ছাড়া একটা অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে বলেছি। কোনও বিতর্ক সভাতে গিয়েও বলিনি। তা সত্ত্বেও আমার মন্তব্য নিয়ে যা হচ্ছে তা দেখে সত্যিই খারাপ লাগছে। আমি তো বারবার বলেছি, মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গল একে অন্যের পরিপূরক। সেটা কেউ লিখল না। অন্য কথাগুলো মিডিয়া লিখল। আমি তো মনে করি, ‘‘ইস্টবেঙ্গল বাংলা ফুটবলের পীঠস্থান’’ এই মন্তব্যটি নেহাতই কথার কথা। সেটা ধর্তব্যের মধ্যে আনাই উচিত নয়।
মোহনবাগানের সঙ্গে আমার সত্তর বছরের যোগ। কোনও দিন এই ক্লাব ছাড়িনি। বাগান ভারতীয় ফুটবলের ধাত্রীগৃহ, পথিকৃৎ। এই ক্লাবের সঙ্গে আমার রক্তের এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক। মোহনবাগানের ঐতিহ্য, তাঁর সাফল্য, ইতিহাস— ভারতের কোনও ক্লাবের নেই। সব কিছুর ঊর্ধ্বে। বিশ্বের দরবারে ভারতীয় ফুটবলকে নিয়ে গিয়েছে মোহনবাগানই। আমার ক্লাবকে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর মঞ্চে গিয়ে ছোট করতে যাব কেন?

ইস্টবেঙ্গলের মঞ্চে গিয়ে আমার করা মন্তব্য নিয়ে নানা বিতর্ক হচ্ছে শুনছি। অনেকে অনেক কিছু বলছে। কিন্তু ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে এসেছিলেন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি চিত্ততোষ মুখোপাধ্যায়। তিনিও তো মোহনবাগানের সমর্থক। আমাকে দেখতে পেয়ে তাঁর চোখও দেখলাম চকচক করছিল। হাত মেলালেন আমার সঙ্গে। তিনি মঞ্চে উঠেও সরাসরি বললেন, মোহনবাগানের সমর্থক। তিনিও তো ইস্টবেঙ্গলের প্রশংসা করে অনেক কিছু বললেন। তা নিয়ে তো কোনও বিতর্ক হল না। আর আমি অনেক কথা বলার মধ্যে কিছু প্রশংসা করেছি বলে কেন এত বিতর্ক হচ্ছে বুঝতে পারছি না।

আর মাত্র আঠারো দিন পর মোহনবাগানের ১২৫ বছরের অনুষ্ঠান। সবার কাছে অনুরোধ ইস্টবেঙ্গলের অনুষ্ঠানের কোনও মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক না বাড়িয়ে আমাদের সবার উচিত সেই অনুষ্ঠানকে সফল করার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়া। আবার বলছি, মোহনবাগানকে ছোট করে কোনও কথা জীবনে কোথাও বলিনি। তা সত্ত্বেও বলছি আমার প্রিয় ক্লাবের কেউ যদি আমার কথায় দুঃখ পেয়ে থাকেন তা হলে আমি সত্যিই দুঃখিত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE