আকচা-আকচি। চারশোর নায়ক তৃপ্ত মেসি।
লিওনেল মেসি যা করতে পারেন, ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো সেটা আরও ভাল ভাবে করতে পারেন।
শনিবার রাতে বার্সেলোনা জার্সিতে ৪০০তম গোল করেছিলেন লিওনেল মেসি। তার কয়েক ঘণ্টা পরেই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রোনাল্ডোও প্রমাণ করলেন কেন তিনি বিশ্বসেরার সিংহাসনে রাজত্ব করছেন। সিআর সেভেনের একক দক্ষতায় মালাগাকে ৩-১ হারিয়ে লা লিগার দৌড়ে টিকে থাকল রিয়াল মাদ্রিদ। ছয় ম্যাচ বাকি থাকতে বার্সার থেকে মাত্র দু’পয়েন্ট পিছিয়ে গ্যালাকটিকোস।
মালাগা ম্যাচে রোনাল্ডো ছিলেন রোনাল্ডোর মেজাজেই। গোল করা, গোল করানো, পায়ের স্কিলে ডিফেন্ডারদের নাস্তানাবুদ করা, সব কিছু দেখিয়ে দিলেন সিআর সেভেন। অপ্রতিরোধ্য পারফরম্যান্সে শুধু মাত্র একটা কালো দাগ হয়ে থাকল পেনাল্টি ফস্কানো। যদিও ম্যাচের শুরুতে রোনাল্ডোর পাসেই সের্জিও র্যামোস ১-০ করেন। বিরতির পরে পেনাল্টি পায় রিয়াল। স্পটকিক নিতে গিয়ে অবিশ্বাস্য ভাবেই বারপোস্টে মারেন পর্তুগিজ মহাতারকা। যদিও হামেস রদ্রিগেজের গোলের মধ্যেও তাঁর অবদান ছিল। কিন্তু পেনাল্টি মিস করলেও গোলের তালিকায় ঠিক থাকলেন রোনাল্ডো। ম্যাচের শেষ লগ্নে জাভিয়ের হার্নান্দেজের পাসে মরসুমের ৫০ নম্বর গোল করেন সিআর সেভেন। যে গোলের সৌজন্যে রোনাল্ডো লা লিগার প্রথম ফুটবলার হলেন যিনি টানা পাঁচ বছর ৫০ গোল করলেন।
তবে রিয়াল জয়ের মধ্যেও গ্যারেথ বেল, লুকা মদ্রিচের মতো গুরুত্বপূর্ণ তারকাদের মাঠ ছাড়তে হয় চোটের জন্য। বুধবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় পর্বে মুখোমুখি হতে চলেছে রিয়াল মাদ্রিদ ও আটলেটিকো মাদ্রিদ। যার আগে এই চোট সমস্যা মাথাব্যথা বাড়িয়ে দিল কার্লো আন্সেলোত্তির। রিয়ালের ইতালীয় কোচ বলছেন, ‘‘মদ্রিচের হাঁটুতে সমস্যা হয়েছে। বেলের কাফ মাসলে চোট। আগামী দিনগুলোয় ওদের পরীক্ষা করে দেখা হবে। বুধবার ওরা খেলতে পারবে না সেটা বলব না। দেখা যাক কী হয়।’’ আন্সেলোত্তি মনে করেন, মালাগা জয়ের সৌজন্যে বুধবারের মহারণে আত্মবিশ্বাসী মেজাজে খেলতে পারবে রিয়াল। ‘‘বুধবার সর্বশক্তি লাগিয়ে দেবে দল। আমরা সব রকমের চেষ্টা চালাব পরের রাউন্ডে যেতে।’’
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের আগে রিয়াল ফুটবলাররা চিন্তিত থাকলেও, বার্সা যেন ধরেই নিয়েছে তারা শেষ চারে যাচ্ছে। মেসি যেমন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে পোস্ট করলেন, ‘‘৪০০ গোলের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।’’ প্যারিস সাঁ জাঁর বিরুদ্ধে দ্বিতীয় পর্বের আগে আবার বার্সা ডিফেন্ডার আদ্রিয়ানো ব্যস্ত ছিলেন ছিলেন ফরোয়ার্ড লাইনের প্রশংসায়। ‘‘মেসি, নেইমার ও সুয়ারেজের ফরোয়ার্ড লাইন বিশ্বের সেরা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy