ছবি পিটিআই
এ বার চেন্নাই ও ডলফিন্সের মুখোমুখি হওয়ার পালা। সোমবার বেঙ্গালুরুতে যারা হারবে, তারা কিন্তু অনেকটা পিছিয়ে পড়বে। চেন্নাইয়ের একটা সুবিধা হল, ওরা ম্যাচের আগে অনেকটা বিশ্রাম পেয়ে গিয়েছে। যেখানে ডলফিন্স তাদের শেষ ম্যাচের পর যেটুকু সময় পেয়েছে, তার বেশিরভাগটা তাদের এক শহর থেকে অন্য শহরে যাওয়ার পথেই কেটে গিয়েছে।
এ বারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি টোয়েন্টির গ্রুপ ‘এ’ কিন্তু বেশ কঠিন। চেন্নাই ও কলকাতার দল কেমন, তা তো সবারই জানা। কিন্তু পারথ ও ডলফিন্সও খারাপ নয়। সে দিন ডলফিন্স-পারথের ম্যাচের কথাই ধরুন না। ডলফিন্স ১২-৩ হয়ে গিয়েছিল। তার পর একজন ভাল বক্সারের মতো শেষ পযর্ন্ত দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করে শেষ পর্যন্ত ১৬৪-৭-এ পৌঁছয়। আসলে ওরা ওদের শক্তি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল।
চেন্নাই বেশ শক্তিশালী। যদিও সুনীল নারিন তার চার ওভারে প্রতিপক্ষকে প্রায় কিছুই দেয়নি, তা সত্ত্বেও বাকিদের থেকে ধোনিরা ভালই নিংড়ে নিতে পেরেছিল। আমি তো বলব, প্রথম ম্যাচে হারা সত্ত্বেও কলকাতা, পঞ্জাবের সঙ্গে চেন্নাইকেও সেই দলগুলির তালিকায় রাখব, যাদের হারানো কঠিন। ধোনিদের উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
বুঝতে নিশ্চয়ই অসুবিধা নেই যে, তিনটেই আইপিএলের দল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আইপিএলের বাইরের দলগুলোকে প্রতিবারই একটা সুবিধা পেয়ে থাকে। আইপিএল দলগুলোর মতো ওদের শক্তি-দুর্বলতাগুলো নিয়ে সে ভাবে চর্চা হয় না। অনেক দেরিতে ওদের নিয়ে চর্চা শুরু হয়। সোমবার বেঙ্গালুরুতে চেন্নাইয়েরও ডলফিন্সের বিরুদ্ধে এই সমস্যা থাকবে। কিন্তু শুরু থেকেই ওদের বিপক্ষের উপর আধিপত্য বিস্তার করা ছাড়া উপায় নেই। দুই দলেরই ব্যাটিং ভাল। তাই দুই দলই আশা করি রান তাড়া করে ম্যাচ জিততে চাইবে।
বেঙ্গালুরুতে মরসুমের প্রথম ম্যাচ। তাই এখানকার উইকেট ঠিক কি রকম আচরণ করবে, তা কেউ জানে না। আর বৃষ্টি তো এখানে সবসময়ই লেগে আছে। তবু আশা করব, ব্যাটসম্যানরা চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে রানের ফোয়ারা ছোটাবে। তাই ‘চেজ’ করাটাই সেরা রাস্তা বোধহয়। ইশ্বর পান্ডে ও মোহিত শর্মাকে নজরে রাখবেন। দু’জনই অস্ট্রেলিয়া সফরে ডাক পাওয়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছে। তাই আজ ওদের বল থেকে আগুন ছিটকে বেরলে অবাক হবেন না। এমনটাই প্রত্যাশা করে আছি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy