ডুমিনির বলে আউট কায়েস। ছবি: এপি।
প্রথম টেস্টে আফ্রিকান সিংহদের প্রায় কব্জা করে ফেললেও বৃষ্টির জন্য ফস্কে গেছে সে সুযোগ। দ্বিতীয় টেস্টেও বৃষ্টির ভ্রূকুটি থাকলেও সেই বাধা টপকে ভাল প্রদর্শন করতে মরিয়া বাংলাদেশ।
টসে জিতে বৃহস্পতিবার শের এ বাংলা স্টেডিয়ামে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। প্রথম টেস্টের একাদশে একটাই পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ। তাইজুল ইসলামের জায়গায় দলে এসেছেন ব্যাটিং অলরাউন্ডার নাসির হোসেন। ব্যাটে দলকে নির্ভরতা দেওয়ার পাশাপাশি বাঁহাতি স্পিনটাও ভালই করেন নাসির। একটি পরিবর্তন করেছে দক্ষিণ আফ্রিকাও। অফ ফর্মে থাকা উইকেটরক্ষক ডি’ককের জায়গায় দলে এসেছেন ডেন ভিলাস।
বুধবারই তামিম হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, সাফল্যের জন্য দলের প্রতিটা ক্রিকেটার ক্ষুধার্ত। অতীতের দিকে না তাকিয়ে চলতি টেস্টে ভাল প্রদর্শন করাই যে দলের লক্ষ্য তা-ও জানিয়েছিলেন তিনি। হুঙ্কার ছেড়েছিলেন মর্নি মর্কেলও। বাংলাদেশকে হুঁশিয়ার করে প্রোটিয়া পেসার বলেছিলেন, “আমরা কেন বিশ্বার এক নম্বর দল, এ বার তা দেখিয়ে দেব।”
কার্যক্ষেত্রে অবশ্য মর্কেল বা তামিম ব্যক্তিগত ভাবে এখনও কেউই দাগ কাটতে ব্যর্থ। ব্যক্তিগত মাত্র ছ’রানে স্টেইনের বলে আউট হয়েছেন তিনি। আর দিনের শেষে মাত্র একটি উইকেট পেলেন মর্কেল। রান না পেলেও অবশ্য ইতিহাসে নাম তুলেছেন তামিম। টেস্ট ক্রিকেটে স্টেইনের চারশোতম শিকার হলেন তিনি।
তামিমকে হারালেও ভাল ভাবেই এগোচ্ছিল মমিনুল হক-ইমরুল কায়েস জুটি। স্টেইন-মর্কেলদের অনায়াসে সামলা্ছিল এই জুটি। কিন্তু ফের বৃষ্টির কাছেই হার মানতে হল তাঁদের। কিছু ক্ষণ বৃষ্টির পর খেলা শুরু হতেই ছন্দ কাটে বাংলাদেশের। ডুমিনির বলে পর পর আউট হন কায়েস এবং মমিনুল। এর পর ফের ইনিংস গড়ার কাজ শুরু করেন মাহমুদুল্লাহ এবং অধিনায়ক মুশফিকুর। প্রায় একশো রানের পার্টনারশিপও করে এই জুটি। এর পর মাহমুদুল্লাকে ফিরিয়ে প্রটিয়াদের ম্যাচে ফেরান স্টেইন। সাকিব, মাহমুদুল্লারা সবাই ভাল শুরু করলেও ইনিংস টেনে নিয়ে যেতে পারেননি। দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন অধিনায়ক মুশফিকুর। দিনের শেষে বাংলাদেশের রান ২৪৬/৮।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy