সিল্লির মাঠে ফুটবলার ধোনি। ছবি: পিটিআই
তাঁর পায়ে বল পড়লে গ্যালারি থেকে যে চিৎকার উঠছে, শুনে মনে হবে বল পায়ে বুঝি মেসি বা রোনাল্ডো ছুটছেন।
না, তাঁর নাম লিওনেল মেসি বা ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো নয়। যদিও খেলাধুলোর দুনিয়ায় তিনিও সমান বিখ্যাত। ফুটবল নন, তিনি ক্রিকেটের সুপারস্টার। আর সেই মহেন্দ্র সিংহ ধোনি যে ফুটবলটা এ দিন দেখালেন, শেষ মিনিটে যে দুর্দান্ত গোল করলেন, তাতে অনেক ফুটবল ভক্তকেই আফসোস করতে শোনা গেল— ইস, ধোনি যদি ফুটবল খেলতেন! তা হলে আমাদের টিমটার হয়তো এই অবস্থা হত না!
বিরাট কোহালি যখন সাবাইনা পার্কে টস করতে নামছেন, তার কয়েক ঘণ্টা আগে চুটিয়ে ফুটবল খেলতে দেখা গেল ভারতের ওয়ান ডে অধিনায়ককে। রাঁচি থেকে কিছুটা দূরে, সিল্লি নামের ছোট্ট, পাহাড় ঘেরা এক গ্রামে। মেঘলা বিকেলে সাত নম্বর জার্সি পরে অভিনব এই ফুটবল ম্যাচ খেলতে নামার আগে ধোনি বলে দিলেন, ‘‘আগের মতো আজও ফুটবল খেলাটা উপভোগ করি।’’
স্কুল জীবনে গোলকিপার ছিলেন ধোনি। এ দিন অবশ্য খেললেন লেফট উইং হিসেবে। ৭৫ মিনিটের ম্যাচের প্রথম থেকে শেষ মাঠে ছিলেন তিনি। সিল্লি স্পোর্টস ফুটবল অ্যাকাডেমি বনাম টোপ্পো ব্রাদার্স রাঁচি এই ম্যাচে ধোনির টিমে খেললেন ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী সুদেশ মাহাতো। যিনি ধোনির ঘনিষ্ঠ বন্ধুও। এবং যাঁর সঙ্গে মাঠে ধোনির বোঝাপড়া মনে পড়িয়ে দিচ্ছিল নন-স্ট্রাইকারদের সঙ্গে তাঁর মসৃণ সিঙ্গলস নেওয়া। তাঁর ড্রিবলিং, পাসিং শটে মুগ্ধ দর্শকরা। কয়েক বার বেশ কড়া ট্যাকলও সামলাতে হয়েছে ধোনিকে।
শেষ পর্যন্ত ধোনির দল জিতল ৫-২ গোলে। যার মধ্যে সবচেয়ে স্মরণীয় হয়ে থাকল ধোনির গোল। সুদেশের বাড়ানো বল ধরে পেনাল্টি বক্সে ঢুকে এক জনকে কাটিয়ে গোলে ঠেলে দেন ধোনি। বিপক্ষ টিমের সদস্যরা পরে বলছিলেন, ধোনিকে তাঁদের কেউই রেয়াত করেননি। তবে ম্যাচ শেষে বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়কের এক ভক্ত যা বললেন, সেটা বোধহয় আরও বেশি আকর্ষণীয়। আশিস মাহাতো নামক ওই ভক্তের সরস মন্তব্য, ‘‘এই মাঠে ধোনির ফুটবল দেখতে যা ভিড় হল, এত ভিড় তো কোহালিদের দেখতে ওয়েস্ট ইন্ডিজেও হয়নি!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy