পর্যবেক্ষক: ঘরের মাঠে পিচ পরীক্ষা করে গেলেন ধোনি। ফাইল চিত্র
রাঁচীর যে পিচ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে, সেই পিচ পরীক্ষা করে বিজয় হজারে ট্রফি খেলার জন্য শহর ছাড়লেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। শুক্রবারও জেএসসিএ স্টেডিয়ামে এসেছিলেন ধোনি। জেএসসিএ-এর সচিব দেবাশিষ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘শনিবার দুপুর দেড়টার ফ্লাইটে ধোনি টিমের সঙ্গে বিজর হজারে ট্রফি খেলতে চলে গেলেন। নিজের শহরে প্রথম টেস্ট ম্যাচ যেন সব দিক থেকেই স্মরণীয় করে রাখতে পারি, সেই ব্যপারে শেষ মুহূর্তে কিছু টিপসও দিয়েছেন উনি।’’
যিনি এত দিন সব দিকে নজর রেখেছেন, তিনি নিজেই টেস্ট ম্যাচের সময় থাকতে না পারায় অবশ্য জেএসসিএ কর্তারা কিছুটা হলেও বিষণ্ণ। তবে কর্তারা জানাচ্ছেন, ধোনি একেবারেই থাকতে পারবেন না, ব্যাপারটা এ রকম নয়। কারণ বিজয় হজারে ট্রফির ম্যাচ রয়েছে আগামী ১৫, ১৭ ও ১৯ তারিখ। দেবাশিসবাবু বলেন, ‘‘ঝাড়খণ্ড যদি ফাইনালে ওঠেও, তা হলেও ধোনি ১৯ তারিখ রাতের ফ্লাইট ধরে রাঁচী পৌঁছে যাচ্ছেন। টেস্ট ম্যাচের পঞ্চম দিনের খেলা থেকে তিনি মাঠে থাকতে পারবেন।’’ আর তার আগে ঝাড়খণ্ড ছিটকে গেলে তো আগে থেকেই ধোনি মাঠে হাজির থাকতে পারবেন।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, ধোনি যদি ২০ তারিখের আগে মাঠে আসতে না পারেন, তা হলে তাঁর টেস্ট দেখা হবে তো? প্রশ্ন ওঠার কারণ সেই উইকেট। ম্যাচ পঞ্চম দিন গড়াবে কি না, এ প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। যদিও কিউরেটর শ্যাম বাহাদুর সিংহ পরিষ্কার বলে দিলেন, ‘‘সব ধরনের বোলারই এই পিচ থেকে সাহায্য পাবেন। ম্যাচ পাঁচ দিন পর্যন্ত গড়ানোর সম্ভাবনাই বেশি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘পিচ নিয়ে এত হইচইয়ের কিছু নেই। আমরা কারও ইচ্ছা অনুযায়ী পিচ বানাচ্ছি না রাঁচীতে। এ রকম অভিয়োগ মোটেই ঠিক নয়।’’
আরও পড়ুন: কামিন্সকেই এনে ফাটকা অস্ট্রেলিয়ার
তবে কারও ইচ্ছা অনুযায়ী না হলেও পিচ বানাতে যে ধোনির পরামর্শ নেওয়া হয়েছে, সেটা কিউরেটর কিছুটা ঘুরিয়ে স্বীকার করেছেন। শ্যাম বাহাদুর বলেন, ‘‘ধোনি একজন অভিজ্ঞ খেলয়োড়। গলি ক্রিকেটের পিচ থেকে শুরু করে দেশ বিদেশের সব ধরনের পিচে উনি খেলেছেন। ধোনির এটা ঘরের মাঠ। তাই যে কোনও ধরনের বড় ম্যাচের ক্ষেত্রেই ওঁর কাছে আমরা পরামর্শ নিই। ওঁর বিশাল অভিজ্ঞতা আমাদের পিচ বানাতে সাহায্য করেছে।’’ তিনি জানান, এ বার তো রাঁচীতে প্রথম টেস্ট। তাই পিচের দিকেও বিশেষ একটু বিশেষ নজর তো দেওয়া হচ্ছেই।
শ্যামবাহাদুর জানান, ধোনিও চান টেস্ট ক্রিকেটের সব ধরনের উপাদন এই পিচে মজুদ থাকুক। একটা উপভোগ্য টেস্ট ম্যাচ দেখুক গোটা বিশ্ব। কিউরেটর বলেন, ‘‘আমরা কথা দিচ্ছি বেঙ্গালুরু বা পুণের পিচের পুনরাবৃত্তি হবে না রাঁচীতে। টেস্ট ম্যাচ কেন্দ্র হিসেবে রাঁচীর নামের পাশে কোনও ভাবেই কালো দাগ লাগতে দেব না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy